আরো শক্তিশালী হচ্ছে রেমাল
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৭ মে ২০২৪, ০৪:৪৯, আপডেট: ২৭ মে ২০২৪, ০৮:৫৯
ঘূর্ণিঝড় রেমালের বিপদ এখনো কাটেনি। বরং আরো শক্তিশালী হচ্ছে। এমন তথ্যই জানিয়েছেন কানাডাভিত্তিক আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ। তিনি দিবাগত রাত সোয়া ২টায় তার ফেসবুকে যে আপডেট দিয়েছেন, সে অনুযায়ী রেমালের মধ্যে বজ্রপাত হচ্ছে। আর এতে বোঝা যাচ্ছে যে ঘূর্ণিঝড়টি আরো শক্তিশালী হচ্ছে।
পলাশ জানান, প্রকাশিত নিচের ছবিতে বজ্রপাতের দুটি লাইন নির্দেশ করা হয়েছে, যার একটি চট্টগ্রাম বিভাগের দিকে এবং অন্যটি বরিশাল বিভাগের দিকে প্রবাহিত হচ্ছে। এই লাইনের নিচে ভারী থেকে খুবই ভারি বৃষ্টি হতে পারে। এই বৃষ্টি ৩ থেকে ৬ ঘণ্টা পর্যন্ত চলতে পারে
এর আগে বিবিসির খবরে বলা হয়, বাংলাদেশের সাতক্ষীরা ও পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপের মাঝামাঝি এলাকা দিয়ে বঙ্গোপসাগর উপকূলে আঘাত হেনেছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালের ‘আই’ (চোখ) বা মূল কেন্দ্রটি। রোববার বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা নাগাদ এটি আঘাত হানে, যদিও ওই সময় সাগরে ভাটা থাকায় তেমন বড় কোনো জলোচ্ছ্বাস দেখা যায়নি।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, মোটামুটিভাবে বাংলাদেশ সময় রাত ১১টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের মূল অংশ অর্থাৎ চোখের অংশটি উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করে যাবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের প্রধান ড. শামীম হাসান ভূঁইয়া জানান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে তীব্র বাতাস, জলোচ্ছ্বাস, ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারী ও অতিভারী বৃষ্টি এবং বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়টির মূল কেন্দ্র বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ দুটি জায়গা দিয়েই অতিক্রম করছে বলেও জানাচ্ছে বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বিবিসি বাংলাকে বলেন, 'মোংলা থেকে দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চল দিয়ে সাতক্ষীরা ও পশ্চিম বঙ্গের সাগর আইল্যান্ডের মাঝখান দিয়ে ঢুকেছে ঘূর্ণিঝড়ের মূল কেন্দ্রটি। মূল কেন্দ্রের ব্যাসার্ধ অনেক বড় থাকায় এটির প্রভাব আশপাশের এলাকাগুলোতেও পড়তে শুরু করেছে।'
আবহাওয়া অফিস বলছে, ঝড়টির মূল অংশ যখন উপকূলে আঘাত হানতে শুরু করে তখন নদী ও সাগরে ভাটা থাকার কারণে জলোচ্ছ্বাস কম হয়েছে। তবে, রাত পৌনে ১০টার দিকে উপকূলীয় এলাকায় জোয়ার শুরু হবে।
ঝড়ের শেষ ভাগটি যখন উপকূল অতিক্রম করবে, তখন সাগরে জোয়ার থাকার কারণে উপকূলীয় জেলাগুলোতে জলোচ্ছ্বাস বাড়বে।
রিমালের প্রভাবে কাল সোমবার রাজধানী ঢাকা-সহ সারাদেশে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া অধিদফতর। আর ঝড়টি এখনও উপকূল অতিক্রম করছে বলে মোংলা ও পায়রা বন্দরকে ১০ নম্বর, এবং কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৯ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
ঝড়ের প্রভাবে কুয়াকাটায় জলোচ্ছ্বাসে একজন ও সাতক্ষীরায় আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার পথে আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। আর দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় মোংলাতে দুপুরে নৌকাডুবিতে মারা গেছে তিনজন।
সাতক্ষীরার শ্যামনগর থেকে বিবিসি বাংলার সংবাদদাতা নাগিব বাহার রোববার সন্ধ্যায় জানিয়েছেন, এরই মধ্যে ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করেছে। জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে বেশ কিছু এলাকা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা