সৌদির সাথে অফশোর ব্যাংকিং সুবিধা নিয়ে আলোচনা করবে বাংলাদেশ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ৩০ জুন ২০২৪, ১৭:৩৬
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সৌদি কোম্পানিগুলোকে অফশোর ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে ডিপোজিট করতে আকৃষ্ট করার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে সৌদি আরবের সাথে আর্থিক খাতে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করবে বাংলাদেশ।
তিনি আরো বলেন,‘তারা যদি আর্থিক খাতে বিনিয়োগ করতে চায়, তাহলে আলোচনা করা হবে। তারা আমেরিকা ও ইউরোপে টাকা জমা রাখে। বাংলাদেশও টাকা জমা রাখার একটি সুযোগ করে দিয়েছে। যেকোনো বিদেশী কোম্পানি ও বিদেশী ব্যক্তি বাংলাদেশের অফশোর অ্যাকাউন্টে তাদের অর্থ রাখতে পারবেন। অন্য বিষয়ের সাথে এটিও আলোচনা হবে।’
আগামীকাল (১ জুলাই) রিয়াদে সৌদি আরবের সাথে দ্বিতীয় রাজনৈতিক পরামর্শ সভায় অংশ নেয়া প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এ সভায় বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং সৌদি আরবের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ।
অফশোর ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ব্যাংকগুলোতে বৈদেশিক মুদ্রায় ডিপোজিট করার এই সুযোগ দেশে বিনিয়োগ ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সহজতর করা এবং মার্কিন ডলারের একটি প্রধান উৎস তৈরি করছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,‘আমরা একটি নতুন সুযোগ তৈরি করে দিয়েছি। এটিকে জনপ্রিয় করতে চাই আমরা। এমন দেশ রয়েছে যেখানে বিদেশি সংস্থা এবং ব্যক্তিরা এই জাতীয় ডিপোজিট তৈরি করে।’
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ বাড়াতে এবং বৈদেশিক বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে চলতি বছরের মার্চ মাসে সংসদে অফশোর ব্যাংকিং আইন, ২০২৪ পাস করা হয়।
বাংলাদেশি ও বিদেশী নাগরিকদের এ সেবার নিয়ম-নীতি শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত জাতীয় বাজেটের পরিমাণ ১২ বার বেড়েছে এবং বাজেট বাস্তবায়নের হার প্রায় ৯২-৯৬ শতাংশ।
তিনি বলেন, এক শ্রেণির মানুষ সব সময় বাজেটকে ‘উচ্চাভিলাষী' ও বাস্তবায়ন অসম্ভব বলে বর্ণনা করেন, যদিও বাস্তবে বাজেট বাস্তবায়নের হার বাড়ানোর মাধ্যমে উল্টো চিত্র দেখা যায়।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার বৈদেশিক নির্ভরশীলতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে এনেছে, যা বিএনপির আমলে ছিল প্রায় ৫০ শতাংশ। এখন তা মাত্র ১৫ থেকে ২০ শতাংশ।
বাংলাদেশ এখন বৈদেশিক ঋণকে ‘না’ বলার মতো অবস্থানে থাকলেও মাঝে মাঝে বিভিন্ন কারণে ঋণ নিতে হয় বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশের উন্নয়ন এখন বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এবং অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অংশীদার দেশ, যাদের সদস্য দেশ হিসেবে বাংলাদেশের জন্য সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ রয়েছে।
সূত্র : ইউএনবি