১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

মিয়ানমারে ফেরত যাচ্ছেন ১৩৪ বিজিপি-সেনা, ফিরছেন ৪৫ বাংলাদেশী

মিয়ানমারে ফেরত যাচ্ছেন ১৩৪ বিজিপি-সেনা, ফিরছেন ৪৫ বাংলাদেশী - ফাইল ছবি।

মিয়ানমারে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরছেন ৪৫ বাংলাদেশী। শনিবার (৮ জুন) মিয়ানমারের নৌ বাহিনীর জাহাজ দেশটির সিতওয়ে বন্দর থেকে এসব বাংলাদেশীদের নিয়ে বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছে। একই জাহাজে রোববার (৯ জুন) ফেরত যাবে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের বিজিপি ও সেনা বাহিনীর ১৩৪ সদস্য।

শনিবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমারের উইংয়ের মহাপরিচালক মিয়া মো: মাঈনুল কবির এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মিয়ানমার নৌবাহিনীর জাহাজ ইউএমএস চিন ডুইন রোববার ভোরে মিয়ানমার থেকে ৪৫ জন বাংলাদেশী নাগরিক নিয়ে কক্সবাজারে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। শনিবার মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সিতওয়ে থেকে জাহাজটি যাত্রা শুরু করেছে। একই জাহাজযোগে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সঙ্ঘাতের জেরে পালিয়ে আসা ১৩৪ জন বিজিপি ও সেনা সদস্য ফেরত যাবেন।

মিয়ানমারের বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, রাখাইন রাজ্যে সঙ্ঘাতের কারণে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে যেতে বাধ্য হওয়া মিয়ানমার প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের ফিরিয়ে আনতে মিয়ানমারের নৌ জাহাজ ইউএমএস চিন ডুইন বাংলাদেশে যাচ্ছে। ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাস এবং সিত্তওয়েতে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের অবিচল প্রচেষ্টার ফলে আরো একবার বাংলাদেশী নাগরিকদের তাদের পরিবারের কাছে পাঠানো সম্ভব হয়েছে।

এর আগে গত ২৫ এপ্রিল মিয়ানমার থেকে কারাভোগ শেষে দেশে ফেরেন ১৭৩ জন বাংলাদেশী। একইসাথে ওইদিন বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ২৮৮ জন মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি ও সেনা সদস্যকে ফেরত পাঠায় বাংলাদেশ। এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ৩৩০ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি, সেনা ও কাস্টমস কর্মকর্তাকে স্বদেশে ফেরত পাঠায় বাংলাদেশ।

এর পর গত ২৫ এপ্রিল থেকে ৫ মে পর্যন্ত কয়েক দফায় আরো ১৩৪ জন মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি ও সেনা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। গত ১২ মে কক্সবাজার সফরে আসা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ জানিয়েছিলেন, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসাদের মধ্যে কয়েকজন লে. কর্নেল ও ২ জন মেজরও রয়েছেন। যারা বিজিবির হেফাজতে রয়েছে। রোববার এরাই ফেরত যাবে।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement