০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`


রাশিয়া-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ভিত্তি হলো সমতা-বন্ধুত্ব : রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী

- ছবি : ইউএনবি

বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের বিশেষ ভূমিকার কথা উল্লেখ করে রাশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রেই ইউরেভিচ রুদেনকো বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ভিত্তি ছিল বন্ধুত্ব, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সমতা।

যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পাশাপাশি ১৯৭২-৭৪ সময়কালে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের মাইন অপসারণ ও ডুবে থাকা জাহাজ উত্তোলনে তৎকালীন সোভিয়েত নৌবাহিনী যে সফল অভিযান চালায়, এ বছর তার ৫০ বছর পূর্তিতে বিশেষ আয়োজনের মাধ্যমে তা উদযাপন করা হবে বলে ঘোষণাও দেন তিনি।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ৫৩তম বার্ষিকী উপলক্ষে মস্কোর বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

গত ৫ অক্টোবর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাডিমির পুতিন ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অংশগ্রহণে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকন্দ্রের জন্য প্রথম পারমানবিক জ্বালানি হস্তান্তর অনুষ্ঠানের কথা স্মরণ করেন রুদেনকো।

বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর করার ব্যাপারে একযোগে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন তিনি।

দুই দেশের মধ্যে চলমান ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ নিয়ে তার সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং আগামী দিনে এর আকার ও পরিধি আরও বাড়বে বলে আশা করেন।

তিনি বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়া তথা আন্তর্জাতিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায়ও বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা উল্লেখ করেন।

বাংলাদেশ-রাশিয়া উভয়েই জাতিসংঘ সনদ ও আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং বহুপাক্ষিক বিশ্বব্যবস্থা ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় দুই দেশই একসাথে কাজ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে ছিলেন, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী কর্নেল জেনারেল আলেকজান্ডার ফোমিন এবং মস্কো সিটি গভর্নমেন্টের মন্ত্রী সের্গেই চেরেমিন। এ ছাড়া মস্কোতে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডসহ ষাটের অধিক দেশের রাষ্ট্রদূত, স্টেট ডুমার সদস্য, রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছিলেন।

রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসান ’ভিশন ২০৪১’ এর কথা উল্লেখ করে বলেন, এটি বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি স্মার্ট ও উন্নত রাষ্ট্রের কাতারে নিয়ে যাবে।

বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন প্রণোদনার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে অধিক হারে বিনিয়োগের জন্য আহ্বান জানান।

রমজান মাসের কারণে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি ঈদ-উল-ফিতর এর পরে আয়োজন করা হয়। সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement