২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফকে বৃহত্তর সহযোগিতার অনুরোধ অর্থমন্ত্রীর

বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফকে বৃহত্তর সহযোগিতার অনুরোধ অর্থমন্ত্রীর - ছবি : সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশ যে ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতির শিকার হতে যাচ্ছে তার গুরুত্ব বিবেচনা করে দাতাসংস্থা বিশ্বব্যাংক গ্রুপ এবং আইএমএফকে বৃহত্তর সহযোগিতা নিশ্চিত করার অনুরোধ জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বুধবার করোনা পরিস্থিতি এবং সহযোগিতা নিয়ে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ সদরদপ্তরের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এ অনুরোধ জানান।

অর্থমন্ত্রী শের-ই-বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষ থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, অর্থ সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন। এছাড়া, বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ড. ফজলে কবির নিজ দপ্তর থেকে এ কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের ঈর্ষণীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। বিগত ৩ বছর ধরে ৭ শতাংশের অধিক হারে প্রবৃদ্ধি অর্জনের ধারাবাহিকতায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ৮.১৫ শতাংশ, যা এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সর্ব্বোচ্চ।

চলতি বছর ৮.২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি আশা করা হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যক্রমে, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে বাংলাদেশের ক্ষতি জিডিপির ১.১ শতাংশ হতে পারে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) বিশ্লেষণ এ আশঙ্কা ব্যক্ত করেছে।

‘যখন আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজির লক্ষ্যগুলো অর্জনসহ উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার অপেক্ষায় আছি তখন বাংলাদেশসহ, বিশ্ব অর্থনীতি করোনাভাইরাসের বিরূপ প্রভাবের সম্মুখীন,’ যোগ করেন তিনি।

করোনাভাইরাসের প্রভাব বাংলাদেশ অনুভব করতে শুরু করেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘এ সংকট আমাদের অর্থনীতিকে বহুমাত্রিক দিক থেকে আঘাত করতে পারে। ইউরোপ ও আমেরিকা শাটডাউনের কারণে আমাদের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাকের চাহিদা হ্রাসে এ শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমাদের অবকাঠামো খাতের প্রকল্পগুলোতে দীর্ঘসূত্রিতা তৈরি হচ্ছে। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মী বিদেশ থেকে ফিরে এসেছেন বলে রেমিটেন্সের ওপরেও নেতিবাচক প্রভাব আসন্ন। কোনো দেশের একার পক্ষে এ রকম একটি দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়া সম্ভব নয়। তাই এ সংকটময় পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ার জন্য আমরা আইএমএফ এবং বিশ্বব্যাংক গ্রুপকে আমাদের পাশে থাকার অনুরোধ করব।’

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংক ১৪ বিলিয়ন ডলারের বৈশ্বিক তহবিল গঠন করেছে। পাশাপাশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দেশগুলোর সহায়তার জন্য ৫০ বিলিয়ন ডলারের তহবিল ঘোষণা করেছে আইএমএফ, এ অর্থের মধ্যে ১০ বিলিয়ন ডলার পাবে স্বল্প আয়ের দেশগুলো। বাংলাদেশ সামনের দিনগুলোতে অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ থেকে একটি বড় অংশ সহযোগিতা আশা করছে।  সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement