যুদ্ধে যাবার দিন
- ০৭ জুন ২০২৪, ০০:০৫
যখনই প্রশ্ন করেছি নিজেকে, যাবে কি যুদ্ধে?
মেলেনি উত্তর!
পৃথিবীতে নিরন্তর যে যুদ্ধের প্রয়োজন
সুখে ও সম্মানে বাঁচতে
যে যুদ্ধের প্রয়োজনে নদীরা শুকায়
গাছেরা হারায় সবুজ ঝরাপাতা ক্রন্দন
আকাশে হাত-পা মেলে করে হা হুতাশ
নলখাগড়ার বন...
রুক্ষ দিনের শেষে বিক্ষিপ্ত মেঘ ঘিরে আকাশে আকাশে
নামে না বৃষ্টি বীভৎস রাতে!
দল বেঁধে কাঁদে কুকুর কুক্কুরী!
হে মানুষ, স্বার্থ ছাড়া কি তুমি কখনো গেছো কোনো যুদ্ধে?
যে যুদ্ধে কৌশলের চেয়েও তোমার পছন্দ অপকৌশলে?
বিশ্বকে বানিয়ে বোকা একাই সব খাবে বলে বানিয়েছ ক্ষেপণাস্ত্র !
বোমায় বোমায় দেখ আকাশ চৌচির
কত কুমন্ত্র জানো ছলে বলে জিতবার
ধ্বংসস্তূপে ডুবিয়ে নিরীহ সুখ-সংসার !
একদিন আমরাও যুদ্ধে যাবো!
আগুন বাতাসে তখনো ভাসবে তামাটে ধোঁয়া পোড়ামাটি ঘ্রাণ
মেঘবতী ছায়ারা উধাও, পর্বতে নামবে ধস!
কী হবে তাদের- যুদ্ধাহত রুদ্ধশ্বাসে যারা নিয়েছে আশ্রয় গুহার ভেতর!
আমরা কি যাবো না ছুটে বাঁচাতে তাদের?
হয়তো তার আগেই বেরিয়ে আসবে কাহাফের দল!
দাবানল দাহে নয়, বোমার আগুন পোড়া মরুর ধূলি,
কেউ তো নেই কাছে মুমূর্ষুর মুখে দেবে দু’ফোঁটা পানি...
সে-ই যে কবে ফুরায়েছে তৃষ্ণার জল!
অবাক অবেলায় নিভৃত নিসর্গে শুনি মৃত্যুর হাহাকার?
না, না। ও যে শহীদের বিজয়ানন্দ, শুকরিয়া ধ্বনি!
এ কোনো যুদ্ধ হতে পারে না!
না, না, এ তোদের যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা; খেলিস কুৎ কুৎ-
পাখিদের, মানুষের, শিশুদের
নিঃশ্বাসের গুনিস বুদ্ বুদ্!
তখনো বেহুঁশেরা লিপ্ত আরেক যুদ্ধে! প্রতিহিংসা-
লোভ-স্বার্থ-সম্ভারে সুসজ্জিত ভোগ ও মোহের
আরো বড় যুদ্ধে তুমুল রয়েছে খিঁচে...
ভ্রাতৃপ্রেম নয়, ছুড়ে ভ্রান্ত খেউড়, বলে-
কেরে তুই, মানুষ?
আয় তবে- মানুষ আমিও আছি ,
টেনে হিঁচড়ে নামাই তোরে অধিক নিচে!
অশান্ত মন তবু খচখচ করে!
-যাবে কি যুদ্ধে?
একদিন সত্যিই যুদ্ধে যাবো।
সেই দিন নয় মোটেও দূরে!
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা