বিক্ষিপ্ত অন্তরের বিলাপ
- রুহুল আমিন বাচ্চু
- ১০ মে ২০২৪, ০০:০৫
পূর্ব খিলপাড়া আন্দাইরা খালপাড়ে একটা মেয়ের গলাকাটা লাশ। খবরটা চাউর হতে সময় নেয় না। মেয়েটির বয়স আনুমানিক তের-চৌদ্দ। পরনে একরঙা হলুদ সেলোয়ার কামিজ। মুখের চামড়াটা ঝলসানো। এতটা বিকৃত যে চেনার উপায় নেই। কার মেয়ে! কি সমাচার! খুব ভোরে কদির বাপ ধানক্ষেতে আগাছা বাছতে গেলে দূর থেকে লাশটা নজরে পড়ে। পরক্ষণে আতঙ্কিত গলায় পেছনে মুখ ঘুরিয়ে হাঁক মারে। কদমতলা মমিনের টঙের চা দোকানের কাঠের বেঞ্চিতে বসে জয়নাল, আবদুল, কালাম। চুলাতে লাকড়ি ঠেসে ক’ফোঁটা কেরোসিন ঢেলে আগুন জ্বালাতে ব্যস্ত মমিন। সূর্যটা হালদার বাড়ির সারি সারি নারকেল বাগানের মাঝ বরাবর। সকাল বেলার কাস্টমাররা চা-মুড়ি খেয়েই ধানক্ষেতে নেমে পড়ে। বাঁশের চোঙে বারবার ফুঁ মেরেও লাকড়িতে আগুন ধরাতে পারছে না। বিরক্ত হয় মমিন। সকালের কাস্টমার মানে ভালো। কদির বাপের হাঁক শুনে ওরা উঠে দাঁড়ায়। কদির বাপের হাঁক ভেসে আসে, এম্মুই আইয়্যে তোমরা, চাই যাও। দূর থেকে কদির বাপের আতঙ্কিত গলার স্বর আর বেহাল অঙ্গভঙ্গি দেখে ওরা প্রায় দৌড়ে এসে কালভার্ট পেরিয়ে খালপাড়ে নেমে পড়ে।
ওদের আসতে দেখে কদির বাপ আরেকটু সাহসী হয়। কাদা পানিতে ঘাস মাড়িয়ে লাশের কাছাকাছি দাঁড়ায়।
মেয়েটার গলা দু’ভাগ না হলেও চিতিয়ে থাকা দেহ থেকে গলাটা বামে হেলে আছে। ততক্ষণে ওরাও প্রায় কাছাকাছি। মেয়েটার জামার বুকের অংশটা ছেড়া। সেলোয়ার মধ্যিখান থেকে উপরে টান টান ছেঁড়া। পাশে কাদা পানিতে ভিজে থাকা ওড়নাটা টেনে কদির বাপ বুকটার উপর মেলে দেয়ার চেষ্টা করে। পেছন থেকে চিৎকার করে ওঠে ছলিম।
কদির বাপ, আলামত নষ্ট কইরো না। পুলিশ কেইচ কইলাম।
চউপ। ধমকে উঠে কদির বাপ।
আমরা তো মানুষ নাকি! মরা মাইনষের ইজ্জত নাই? মরা মাইনষের ইজ্জত আরো বেশি মনে রাখবা। মরা মাইনষের ইজ্জত বাঁচানোর দায়িত্ব জিন্দা মাইনষের। কোন হারামজাদাগো এ কাম! আহ্হারে কার না কার লেদা মাইয়াগা?
ওরা চেনার চেষ্টা করে মেয়েটিকে কিন্তু চিনতে পারে না। সাব্যস্ত হয় মেয়েটি ভিন গ্রামের। ভোরের আলো বাড়ার সাথে সাথে কাদা পানির জমি আর হাঁটু জলের খালে লোকজনের ভিড় বাড়তে থাকে।
ছলিম লুঙ্গির কোচ মেরে খালের মাঝ দিয়ে লাশটা ঘুরে ফিরে দেখে নেয়। কদির বাপের ধানক্ষেতের একাংশ দর্শনার্থীরা মাড়িয়ে ফেলেছে। দুধালো সজিব ধানের গোছাগুলো পায়ের চাপে কাদা পানিতে মাজা ভেঙে এলেবেলে অবস্থায়। বেচারা এ পরিস্থিতিতে কাউকে কিছু বলতেও পারছে না। আর কদিন পরেই ছড়ায় দুধ ছাড়িয়ে গোটা ধরে সোনালি রঙ ধরে যেত।
খালপাড়ে বড় বড় ঘাসের উপর পড়ে আছে মেয়েটির দেহের অংশ। পা দুটো খালের পানিতে আধডোবা। মাথার চুলগুলো পিছনে মেলে আছে। রক্তশূন্য দেহটা এরই মধ্যে ফ্যাকাশে হয়ে গেছে। ছলিম বার দুই দেহটা প্রদক্ষিণ করে ঝুঁকে পড়ে মেয়েটার মুখে। এবার সটান দাঁড়িয়ে বলে মেয়েটিকে বলা হারামজাদার বাচ্চারা জবাই করি মুখে এসিড মারি দিছেরে। আলামতে বুঝা যায় জবাই ইয়ানো করেনি। অন্যখানে জবাই করি ইয়ানো আনি হালাইছে। হুয়োরের ছরা তিন চাইরগা আছিল। ছলিম একসময় পুলিশে চাকরি করত। বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত। তার অভিজ্ঞতাপ্রসূত বক্তব্য সবাই মেনে নেয়।
আহ্হারে কার না কার আদরের ধন। তোমরা কেউ লাশ ধইরবা না। দূরে দূরে থাক। আলামত নষ্ট করিও না বলে ফিরে আসে ছলিম। আরেকটু এগিয়ে পেছনে মুখ ঘুরিয়ে হাঁক মারে, আঁই কাদেররে লই থানায় গেলাম।
হঠাৎ খালপাড়ের উত্তর দিকে এক মহিলার আর্তনাদ শোনা যায়। সবার দৃষ্টি একযোগে সেদিকে ধায়। দূর থেকে স্পষ্ট বোঝা না গেলেও কেউ কেউ অনুমান করে কালার বউ।
খালপাড়ের আড়ায় বাঁশ ঝিংলার বেড়া পেরিয়ে পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে কালার বউ। তার চিৎকারে এতোক্ষণের জল্পনা-কল্পনা দূর করে একটা শোকের প্রলেপে মুড়ে যায় উপস্থিত সবার অন্তর।
কালার মায়ের বড় ছেলের নাম কালা। ডাইরিয়ায় কালা মারা যায় ক’বছর আগে। তারপর একমাত্র সন্তান ছকিনা। জন্ম থেকেই ছকিনা বোবা-কালা।
মানুষের চোখের আড়ালেই আদর যতœ করে মেয়েটিকে বড় করেছে। মেয়েটি এতদিনে অস্পষ্টভাবে উঁ আঁ করে আম্মা-আব্বা বলতে শিখেছে। তাতেই কালার মায়ের অন্তর শীতলতায় ঢেকে যায়। তার ইচ্ছা একদিন বড় ডাক্তার দেখাবে, মেয়েটি নিশ্চয় একদিন না একদিন কথা বলবে। মেয়েটির রূপ সবেমাত্র মেলে উঠছিল। নিজ চত্বরের বাইরে মেয়েটিকে কখনো যেতে দিত না যাতে কারো বদনজর না লাগে। গত চৌদ্দ বছর কোনো আত্মীয়স্বজনের বাড়ি যায়নি এ পরিবার। একটিমাত্র বুকের ধন তাও কালা-বোবা। দারিদ্র্যের এ সংসারে মায়ার অভাব কোনো দিন হয়নি। খোদার দরবারে মাঝে মাঝে আহাজারি করলেও মেয়েটির অযতœ হয়নি। শুকরিয়া জানিয়েছে খোদার কাছে তবু তো সন্তান।
কালার বউ হাউমাউ করে খালের জংলী গাছ, কলমীলতার বেড় ছাড়িয়ে বুক পানিতে দ্রুত এগুতে চাইছে। বাঁশের জিংলা ডুবন্ত কাঁটা ঝোপ এড়িয়ে এতটুকু পথ শাড়ি পরা এ নারীর পেরিয়ে আসা সহজ ছিল না।
একটু পরেই একই পথে আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে আর্তনাদ করে ঝাঁপিয়ে পড়ে কালার বাপ। খুব ভোরে দু’মুঠি মুড়ি চিবিয়ে পশ্চিমের ক্ষেতে গিয়েছিল কচুরলতি তুলতে। আজ খিলপাড়া হাটবার। দুপুরের আগেই লতি তোলা আঁটি বাঁধা এসব শেষ না করলে বেলায় বেলায় বিক্রি শেষ করতে পারবে না। সেখানেই উত্তর বাড়ির আবেদের মুখে মেয়েটির বর্ণনা শুনে ছুটে আসে ঘরে।
কালার মায়ের আগেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় কালার বাপ। দূর থেকেই পরনের কাপড়ের রঙ দেখে শনাক্ত করে ছকিনাকে। তাদের দু’জনের আর্তনাদে আবারো সংক্রামিত হয় উপস্থিত সবাই।
মেয়েটির নি®প্রাণ দেহটি লুফে নিতে ঝাঁপ দিতেই কদির বাপ তাকে সামলে নেয়।
কালার বাপ, খাড়াও। পর মুহূর্তে তার স্ত্রীও থমকে যায়। পুলিশ কেইচ, ধইরবা না। আলামত নষ্ট অই যাইব। মাইয়াগা বাঁচি নাই, ধৈর্য ধর। আল্লার কাছে পানা চাও।
-আঁর মা ছকিনা। কিল্লাই কিল্লাই আঁই হেতির ধইত্তাম হাইত্তান্নো।
-খুনের মামলা। আল্লায় গজব হড়বো হিগুনের উপর। কালার মা-বাবা দু’জনকে আড়াল করে দাঁড়ায় কদির বাপ।
-পুলিশ আইব আলামত লিখব, ছবি তুইলব, তোমরা এককানা ধৈর্য ধর। আল্লার কাছে কও...
কদির বাপ, জামাল, সালেক ওদের ধরে নিয়ে আসে কালভার্টের কাছে। পর্দানশীন কালার মায়ের বিলাপে পাশের বাড়ির মেয়েরা ছুটে আসে। কালার মাকে ধরে নিয়ে যায় নিজ ঘরে। ছলিমের সাথে কাদের পাঁচ কিলোমিটার দূরে থানায় রিপোর্ট করে। থানায় লোক নেই। সবাই ভিআইপি ডিউটিতে ব্যস্ত। শেষাবধি বিকেল পাঁচটায় পুলিশ আর ডোম একটা ভ্যান নিয়ে আসে।
থানা চত্বরে বসে থাকে ওরা কজন। পাশেই লাশ ঘরে মেয়েটিকে নিয়ে যায় পুলিশ। হাউ মাউ করে একটু পর পর কেঁদে ওঠে কালার বাপ।
-আঁর গলাকাটা মাইয়াগারে বুঝি হেতারা আবার ছিঁড়ব? তোমরা কত্ত মাইয়াগারে থুই আঁর কইলজাগারে চিড়ি হালাইতে আঁর যাদুরে আঁই কাটতাম দিতান্নো।
কদির বাপের চাচাতো ভাই কালার বাপ। বয়সে তার ছোট। একই পরিবারভুক্ত হলেও অন্য ভিটায় তার ঘর। বাড়ি ভাগ হয়েছে বিশ বছর আগে। কদির বাপ নতুন ভিটা বানিয়ে ঘর তুলে থাকছে। কালার বাপ পৈতৃক ভিটা আঁকড়ে আছে শুরু থেকেই।
থানার পিতলের ঘণ্টায় রাত দশটার ধ্বনি প্রতিধ্বনিত হয়। একটি কাটা ছেঁড়া লাশের অপেক্ষায় ওরা ক’জন। বড় ছিদ্দতের মাঝে ওরা সময়গুনে। থানাওলারা কিছু বলছে না, জানতে চাইলে খেপে ওঠে। তবুও অপেক্ষা এতটুকু মেহেরবানির প্রত্যাশায়।
মাঠের আমগাছ তলে আলো ছায়ায় ওরা বসে আছে। একটা ছায়ামুর্তির ইশারায় এগিয়ে যায় কদির বাপ। লোকটাকে চিনতে পারে না। জানতেও চায় না পরিচয়। শুধু খবর নিয়ে ফিরে আসে। লাশ নিতে দুই হাজার টাকা চায়।
-কিল্লাই? হাউ মাউ করে কেঁদে ওঠে কালার বাপ। থানার বারান্দায় সেন্ট্রি ধমকে ওঠে ঐ কেডায়রে চিল্লায়? এইডা থানা। কারো বাপের ঘর বাড়ি না।
কদির বাপ দীর্ঘশ্বাস ফেলে আগত সবার পকেট থেকে চেয়ে নিয়ে দুই হাজার টাকার ব্যবস্থা করে।
রাত দুটোয় দাফন শেষে ওরা যার যার ঘরে ফিরে যায়। কালার মা বারবার বিলাপ করতে করতে বেহুঁশ হয়ে পড়ছে। পাশের ঘরের ভাইজি আলেয়া, খুকী কোনোভাবেই তাকে সান্ত্বনা দিতে পারছে না।
পরদিন খুব ভোরে কদির বাপ এ বাড়িতে আসে। ছকিনার রুমের বাঁশের বেড়ার কাটা অংশ দেখে। ঘটনা আঁচ করতে কারো অসুবিধা হয় না। এরই মধ্যে দু’তিনটা ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে গ্রামে। ছেলেগুলো কারা, কার পুত, কার ভাই সবাই জানে। একটা সংগঠনের ছায়াতলে তাদের অপকর্ম বিস্তারিত হচ্ছে। কেউ মুখ খুল্লে বিপদ। হয়তো ঘরে আগুন লাগিয়ে দিবে, নয়তো রাতে চলার পথে পায়ের নলা গুঁড়িয়ে দিবে।
কদির বাপের উঠানে গ্রামের কজন মুরুব্বি জড়ো হয়। ঘরের কাটা বেড়া ধরে দাঁড়িয়ে আছে কালার বাপ। কত কথা মনে পড়ছে তার। দুপুরে ক্ষেত থেকে ফিরে আসলে মেয়েটি লুঙ্গি গামছা নিয়ে দৌড়ে আসত। আঁই উঁই করে কত কথা বলত। যার অর্থ অন্যদের জানা ছিল না। মেয়ের কথা ঠিকই বুঝত কদম আলী। ও যেন বলছে, আব্বা জলদি গোসল সারি আইয়েন, ভুখ লাগছে। তারপর চাটাইতে বাপ বেটি বসতো খাবারের অপেক্ষায়। মা গরম গরম ভাত তরকারি সামনে রেখে যেত। ছকিনা বাবার পাতে তুলে দিত খাবার। তারপর হি হি করে হেসে উঠত। বাবা প্রথম নলাটা ঝোল মাখিয়ে তুলে দিত বোবা মেয়েটির মুখে। একটি দিনের জন্যও ব্যতিক্রম হয়নি এ অধ্যায়ের। কোনো দিন বাবার ফিরতে দেরি হলে উঠানে বাঁশের খুঁটা ধরে দাঁড়িয়ে থাকত। সেদিন লুঙ্গি গামছা কোনোটাই এগিয়ে দিতো না। বাবা গোসল সেরে দেখে একই জায়গায় দাঁড়িয়ে ছকিনা। মেয়েকে পাথালে কোলে তুলে ঘরে নিয়ে আসত। মান ভাঙিয়ে খেতে বসত দু’জনে।
হু হু করে কেঁদে ওঠে কালার বাপ। কাটা বেড়ায় মাথা ঠুকতে ঠুকতে কপাল রক্তাক্ত করে ফেলে। কদির বাপ আর ছলিম ছুটে এসে তাকে নিয়ে বসে উঠানে বিছানো চকিতে।
সবার আফসোস-দীর্ঘশ্বাসে বাতাস ভারাক্রান্ত হয়। কিছুটা শান্ত হয়ে আসে পরিস্থিতি। ঘরের ভেতর কালার মা পাথর হয়ে বসে আছে।
Ñসকালে পুলিশ আইছিল হুইনলাম, কী কইল? চুপচাপ কালার বাপ। মুরুব্বিরা একে অন্যের মুখ দেখাদেখি করে। কদির বাপ পরিস্থিতি ভারমুক্ত করার চেষ্টা করে।
-ভাইরে, যে চলি গেছে হেতীতো আর হিরি আইতো না। আমরা যারা বাঁচি রইছি আংগো তো কিছু দায়িত্ব রইছে। মাইয়াগারে আল্লাহ বেহেশত নসিব করুক। হারমাদ গুণের তো বিচার অইতে অইবো।
ছালাম, কবীর, বাবুল সবাই একযোগে বলে ওঠে আর ছাড়ন নাই। হিগুনেরে আমরা বেকে চিনি। আমরাই সাক্ষী দিউম।
পুলিশ যে আলামত পাইছে, ছুরি, জামা। আহহারে লেদা মাইয়াগা বাঁচনের লাই কীনা কইছে। একগার নাকে যে কামড় দিছে ইয়ান্ততো একগা প্রমাণ। হেতে অন নাকের ব্যান্ডেজে হাত চাপি চলাফেরা করে। আমরা কী বুঝি না। ছলিমের কথার কোনো প্রতিক্রিয়া নেই কালার বাপের।
কদির বাপ আবারও প্রশ্ন করে পুলিশ কি কইলো আংগোরে কইবাতো। তোর বাড়িথুন বাইর আওনের হর হোলা দু’গারে দেখলাম পুলিশের লগে কদমতলায় খাড়াই ফিস্ফাস্ কইতে।
মামলা আই কইত্তান্নো। আঁই গরিব মানুষ। বাপে যে কদ্দুর জমিন দিছে কোনোমতে খোরাকি চলে।
ওম্মা কীয়া কও কালার বাপ! তুঁইকি হাগল অইছ? ছলিমের প্রশ্নে ক্ষেপে ওঠে কালার বাপ। হ, হ, আঁই হাগল অইছি। আঁই জানোয়ার অইছি। আঁর বোবা মাইয়ারে বেইজ্জত করি জবাই করি দিছে, আঁই, হিগুনের বিচার চাই না। বিচার যদি করে আল্লায় কইরব। থানা-জেল-আদালত! থু-থু মারি ইগিনের কপালে। মামলা করি জমি বেচি বেচি থানা আইন-আদালত, জজ-ব্যরিস্ট্যারগোরে খাওয়াইয়্যুম! বিশ বছর হর কইব আসামি বেকসুর খালাস। আঁই মূর্খ সুর্খ মানুষ। আঁই ইগিন বুঝি না, বুঝতাম চাই না। কাজিবাড়ির সফিকের খবর তোমরা বেকে জান। হেতার হোলারে জবাই কইল্লো দিন দুপুরে শত মাইনষের সামনে। মামলা অইলো সাক্ষী অইল, আসামি ধইল্লো। তিন দিনের মাথায় খুনিগো জামিন।
হের হরের ঘটনাও তোমরা জান, সফিক কাজি ঠ্যাং হারাইল। বেক জমিন বেচি মামলা খরচ চালাইল। বউ মইরল। হিয়ার হরে দশ বছর পর মামলা ডিসমিস্। আদালত কয় সাক্ষী নাই। কাজি বাড়ির সফিক হেতে অন কোনাই জান? আঁই জানি। চৌমুহনি চৌ-রাস্তায় খরাত করি খায়। আসামিরা ঠ্যাং ভাঙি দেওনে হেতার লাভই অইছে। মাইনষ্যে খরাত দেয়।
আই খরাত খাইতে চাই না। মইত্তামও হারি না। আল্লায় যেদিন আজরাইল হাডায় অপেক্ষায় আছি। আঁই মামলা কইত্তামনো। আঁর একখান ভোডের কার্ড আছিল ছিঁড়ি হালাইছি। এ দেশের আঁই কেউ না। তোমরা যাও। তোমরা যাও। চিৎকার করে মাটিতে গড়াগড়ি খেতে থাকে কালার বাপ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা