১৮ মে ২০২৪, ০৪ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫
`


পেশা ও ক্যারিয়ার গড়তে নার্সিং শিক্ষা

-

উচ্চ মাধ্যমিকের পর যারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রফেশনাল কোনো বিষয়ে পড়াশোনা করে সম্মানজনক পেশায় ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাদের জন্য নার্সিং কোর্স অনন্য। এই পেশায় চিকিৎসকদের পাশাপাশি আর্তমানবতার সেবায় যেমন নিয়োজিত থাকা সম্ভব, তেমনি আছে ভালো উপার্জন তথা সম্মানও। আমাদের দেশে রোগী প্রতি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সেবিকা বা নার্সের সংখ্যার আনুপাতিক হার অপ্রতুল। অথচ এই সেক্টরে দেশ-বিদেশে রয়েছে কর্মসংস্থানের সুযোগ। এশিয়া ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দক্ষ সেবিকাদের চাহিদা রয়েছে। সীমিত সংখ্যক সরকারি নার্সিং কলেজ তথা এসব কলেজে সীমিত আসন সংখ্যা থাকার কারণে এই ব্যাপক সম্ভাবনাময় খাতটিতে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার সুযোগ কম পেত। এই বাস্তবতাকে সামনে রেখে সরকারি নার্সিং কলেজের পাশাপাশি দেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বেশ কয়েকটি প্রাইভেট নার্সিং কলেজ। যারা মানসম্পন্ন শিক্ষা দেয়ার মাধ্যমে সরকারি নার্সিং কলেজ বা ইনস্টিটিউটগুলোর পাশাপাশি দক্ষ নার্স তৈরির স্বপ্ন নিয়ে কাজ করছে। যদিও সীমাবদ্ধতাও রয়েছে অনেক। সরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো অবকাঠামো ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা না থাকা সত্ত্বে¡ও এসব প্রতিষ্ঠান থেকে বছরান্তে অনেক দক্ষ নার্স বের হচ্ছে। যারা দেশের চিকিৎসা খাতে অবদান রাখাসহ বিদেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে অর্থনীতিতেও অবদান রাখছে। ঢাকায় এ জাতীয় স্বয়ংসম্পূর্ণ একটি কলেজ সাইক নার্সিং কলেজ। যেখানে রয়েছেÑ চার বছর মেয়াদি ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন নার্সিং ও দুই বছর মেয়াদি পোস্ট বেসিক কোর্সে লেখাপড়ার সুযোগ। এই উভয় কোর্সে এনাটমি, ফিজিওলজি, মাইক্রোবায়োলজি, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, কম্পিউটার, ইংরেজি, ফান্ডামেন্টাল নার্সিং, নিউট্রেশন অ্যান্ড ডাইটেটিকস, সাইকোলজি, সাইকিয়াট্রিক নার্সিং, রিসার্চ স্টাডিজ, নার্সিং অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, নার্সিং ম্যানেজমেন্ট ও ইপিডেমিওলজিসহ বিভিন্ন বিষয় পড়ানো হয়।
সাইক নার্সিংয়ে আছেন নার্সিংয়ে মাস্টার্স ডিগ্রিপ্রাপ্ত দক্ষ শিক্ষকমণ্ডলী। এ ছাড়া মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণের জন্য দেশী-বিদেশী বিভিন্ন নার্সিং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথেও যৌথ শিক্ষা বিনিময় চুক্তি সম্পাদন নিয়ে কাজ করছে কর্তৃপক্ষ। যার অধীনে দেশী-বিদেশী আন্তর্জাতিক মানের বিভিন্ন কলেজের শিক্ষকেরা এখানে বিশেষ ক্লাস নেবেন। এখানে ব্যবহারিক ক্লাস তথা ক্লিনিক্যাল ট্রেনিংয়ের জন্য রয়েছে নিজস্ব সাইক জেনারেল হসপিটাল, সাইক ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক ল্যাব এবং ছাত্রছাত্রীদের পৃথক ছাত্রাবাস, সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার, কম্পিউটার ও অন্যান্য ল্যাব তথা ব্যবহারিক শিক্ষার যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা। ইন্টার্নশিপের জন্য নিজস্ব হাসপাতালের পাশাপাশি দেশের বড় বড় হাসপাতাল ও ক্লিনিকের সাথেও চুক্তি রয়েছে। ঢাকার মিরপুর-১৪ তে গড়ে উঠেছে এই কলেজ। এটি বাংলাদেশ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনুমোদিত।
চেয়ারম্যানের বক্তব্য : প্রাইভেট নার্সিং কলেজ ও ইনস্টিটিউটগুলোর সম্ভাবনা সম্পর্কে সাইক ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল টেকনোলজি তথা সাইক গ্রুপের চেয়ারম্যান আবু হাসানাত মো: ইয়াহিয়া বলেন, ‘সাধারণ কোনো ডিগ্রি নিয়ে চাকরির বাজারে এখন আবেদন করাই বৃথা। তাই আমি উদ্যোগ নিলাম নার্সিং কলেজ প্রতিষ্ঠার। বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও প্রাইভেট নার্সিং কলেজ ও ইনস্টিটিউটগুলো গুণগত মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করে সাফল্যের সাথেই এগিয়ে যাচ্ছে। ফলে আমরা সাড়াও পাচ্ছি, শিক্ষার্থীরা আমাদের ওপর আস্থাশীল হচ্ছে। সাইক নার্সিং কলেজে অভিজ্ঞ শিক্ষকসহ হাতে-কলমে শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক শিক্ষা দেয়া হয়। এখানে নিজস্ব ক্যাম্পাসে পড়ার সুযোগ, যাবতীয় অবকাঠামোগত সুবিধা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা তথা বৈশিষ্ট্যের বিবেচনায় আমি মনে করি, শিক্ষার্থীরা এ প্রতিষ্ঠান থেকে সেরাটাই পাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও পাবে।


আরো সংবাদ



premium cement