১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

প্রচণ্ড গরম : কারণ ও প্রতিকার

-

বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় গরমের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া। গরমের মৌসুমে তাপমাত্রা বেড়ে যাবে- তা আবার আলোচিত বিষয় কেন হবে? শীতের সময় শীত। গরমের সময় গরম হওয়া আল্লাহ প্রদত্ত সিদ্ধান্ত। এ সিদ্ধান্তে জগতের কেউ হেরফের করতে পারবে না! এটি জগত সৃষ্টির সূচনালগ্ন থেকেই চলে আসছে। সামনেও চলমান থাকবে।
গরমের মৌসুমে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া আলোচিত বিষয়ে পরিণত হওয়ার কারণ, তাপমাত্রা বাড়তে বাড়তে অসহনীয় পর্যায়ে চলে যাওয়া। মাত্রাতিরিক্ত গরমে পরিণত হওয়া। যাকে বিশেষজ্ঞদের ভাষায় তাপদাহ বলা হয়। গরম যদি সহনীয় পর্যায়ে থাকত, তবে তা কখনোই আলোচিত বিষয় হতো না। যখন সহনীয় পর্যায় ছাপিয়ে অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে, তখনই তা আলোচিত বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এবার এর কারণ নিয়ে আলোচনা করা যাক। তাপদাহের কারণ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামতের শেষ নেই। বিশেষজ্ঞ বলতে এখানে আবহাওয়াবিদ ও ইসলামী স্কলার উদ্দেশ্য। তাদের মধ্যে দু’টি কারণ বেশি আলোচিত হচ্ছে।
এক. গাছগাছালি কমে আসা।
দুই. পাপাচার সংখ্যা বেড়ে যাওয়া।
এই দু’টিই গরমের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার পেছনে দায়ী। কোনোটিকেই ফেলে দেয়ার নয়। যদি বলি, মানুষের পাপাচার বেড়ে যাওয়াতে আল্লাহ তায়ালা অসন্তুষ্ট হয়ে বান্দাকে শাস্তি দিচ্ছেন, তা যেমন ফেলে দেয়ার নয়। আবার যদি বাহ্যিক কারণ হিসেবে গাছপালা কেটে ফেলাকে দায়ী করা হয়, তা-ও যৌক্তিক।
মানুষের পাপাচারের বিষয়ে। আল্লাহ তায়ালা বলেন- ‘মানুষ নিজ হাতে যা কামায়, তার ফলে স্থলে ও জলে অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে, আল্লাহ তাদেরকে তাদের কৃতকর্মের স্বাদ গ্রহণ করাবেন বলে, হয়তো (এর ফলে) তারা ফিরে আসবে।’ (সূরা রুম-৪১)
অন্য সূরায় বলেন- ‘আমি তাদেরকে বলেছি, নিজ প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো। নিশ্চয়ই তিনি অতিশয় ক্ষমাশীল। তিনি আকাশ থেকে তোমাদের ওপর প্রচুর বৃষ্টি বর্ষণ করবেন।’ (সূরা নুহ : ১০-১১)
আরো বলেন, ‘তারা যদি সঠিক পথের ওপর অটল থাকে, তাহলে অবশ্যই আমি তাদেরকে প্রচুর বৃষ্টি প্রদান করব।’ (সূরা জিন-১৬)
বাহ্যিক কারণ বলা যায়
আমাদের দেশে দিন দিন গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। দিন যত গড়াচ্ছে, মানুষ শান্তির সাগরে ডুব দিতে চাচ্ছে। আর শান্তির একমাত্র বাহন হিসেবে বড় বড় সুউচ্চ ভবনকেই যেন বুঝে নিয়েছে। তাই গাছপালা কেটে দিয়ে সেখানে বিল্ডিং করা হচ্ছে। এটি এখনকার সময়ে স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে, যা আমাদের জন্য কখনোই সুখকর মনে হচ্ছে না। কারণ, যতই আমরা বাহ্যিক উপায়-উপকরণকে শান্তির বাহন মনে করছি, তা আমাদের প্রকৃত সুখ-শান্তি এনে দিতে পারছে না। তাই তো দেখা যাচ্ছে- দিন দিন রোগবালাই বেড়েই চলছে। এমনও রোগ প্রকাশ পাচ্ছে, যা আমরা কখনো শুনিনি! এসব কেন হচ্ছে?
লেখক : খতিব, মসজিদে কোবা


আরো সংবাদ



premium cement
মহাদেবপুরে রাস্তার পাশে থেকে যুবকের জবাই করা লাশ উদ্ধার শ্রমিকদের অবহেলিত রেখে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব নয় : সেলিম উদ্দিন মহাদেবপুরে যুবকের লাশ উদ্ধার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম মুখ্য সংগঠকসহ ৩ নেতাকে মারধর সিরিয়ায় ইসরাইলের অবৈধ আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ১২ বছর পর দামেস্কে আবার কার্যক্রম শুরু করল তুর্কি দূতাবাস দেশের মানুষকে নিরাপত্তা দেয়ার জন্য আমরাই যথেষ্ট : আসাদুজ্জামান রিপন জনগণের অধিকার রক্ষায় বিএনপি ঐক্যবদ্ধ : খন্দকার মুক্তাদির সব ধরনের ক্রিকেটে নিষিদ্ধ সাকিবের বোলিং ফেনীতে গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসায় আর্থিক সহায়তা বিজয় দিবস উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত

সকল