রাজবাড়ীতে ইউপি চেয়ারম্যানের পরিবারের নিরাপত্তার দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন
- মেহেদুল হাসান আক্কাছ, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী)
- ২২ জুন ২০২৪, ২২:৩৫
রাজবাড়ীতে পশুহাটের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দের জেরে সন্ত্রাসী হামলায় আহত দাদশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার শেকের হামলাকারীদের গ্রেফতার ও তার পরিবারের নিরাপত্তার দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে তার পরিবারের লোকজন।
শনিবার সকাল ১১টায় দাদশী ইউনিয়নের নিজাদপুর গ্রামে শেখ ফাউন্ডেশন কার্যালয়ে ওই সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পেশ করেন দেলোয়ার চেয়ারম্যানের ছোট ভাই ও শেখ ফাউন্ডেশনের সভাপতি আব্দুল বারেক শেখ ও মাওলানা মো: জাকির শেক। এ সময় দেলোয়ারের বাবা আব্দুল কুদ্দুস শেখ ও চাচা মো: বিল্লাল শেখ উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে তারা জানান, কোরবানির পশুহাটে ৫ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে আকবর খান তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে বাড়িতে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে দেলোয়ারকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা করে। এ সময় তার সাহায্যে এগিয়ে এলে একজন নারীসহ আরো চারজনকে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে জখম করে। বর্তমানে তারা ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ব্যাপারে দেলোয়ারের বাবা ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে রাজবাড়ী সদর থানায় মামলা করেছেন। কিন্তু পুলিশ এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি। উল্টো সন্ত্রাসীরা বাইরে থেকে মোবাইলফোনে দেলোয়ারের অন্যান্য ভাইদের হত্যার হুমকি দিয়ে চলেছে। তাই দ্রুত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে চেয়ারম্যান দেলোয়ারের হত্যা চেষ্টাকারদের বিচার ও তার পরিবারের নিরাপত্তার দাবি জানান।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে দাদশী ইউনিয়নের চেয়াময়ান শিংগা নিজাদপুর গ্রামে দেলোয়ার শেকের বাড়ীতে ঢুকে আকবর খানের নেতৃত্বে ৩০-৪০ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ চেয়ারম্যান দেলোয়ারকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা দেলোয়াকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। বর্তমান তাকে ঢাকা মেডিক্যাল স্থানান্তর করা হয়েছে।
হামলার সময় দেলোয়ারের সাহায্যে এগিয়ে আসা তার ছেলে ঢাকা নটরডেম কলেজের ছাত্র রোহান শেখ (১৭), ছোট ভাই হাসান শেখ (৩৫), ছোট বোন রোজিনা (২০) ও তার স্বামী রাজু (২৫)-কে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে জখম করে। চেয়ারম্যান দেলোয়ারসহ গুরুতর আহত পাঁচজনকে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে রাজবাড়ী সদর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইফতেখারুল আলম প্রধান জানান, দাদশী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দেলোয়ার শেকের ওপর হামলার ঘটনায় তার বাবা আব্দুল কুদ্দুস শেখ মামলা করেছেন। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে। মামলার স্বার্থে এর চেয়ে বেশি কিছু তিনি বলতে চাননি।