১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

এবার ন্যায্য মূল্যে চামড়া কিনবে বিসিক

- ফাইল ছবি

এবার ন্যায্য মূল্যে চামড়া বিক্রিতে সহযোগিতা করবে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)। কোরবানির দিন থেকে টানা এক সপ্তাহ বিসিকের মাধ্যমে চামড়া বিক্রি করা যাবে। তবে কোনো কাঁচা চামড়া নেবে না বিসিক। লবণ মাখিয়ে প্রক্রিয়াজাত করে রাখা চামড়া নির্ধারিত মূল্যে তাদের কাছে বিক্রি করা যাবে।

এ জন্য গোশত ও চর্বি ছাড়ানোর পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে চামড়ায় লবণ মাখিয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় সর্বোচ্চ সাত দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করার পরামর্শ দিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যেই স্থানীয় পর্যায়ে চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য প্রত্যেক এলাকায় চাহিদা অনুযায়ী লবণ সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে।

সোমবার গাজীপুর জেলা প্রশাসকের ভাওয়াল সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।

‘কোরবানির পশুর চামড়া স্থানীয় পর্যায়ে সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে লবণের সরবরাহ নিশ্চিতকরণবিষয়ক’ এ সভায় সভাপতিত্ব করেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষে গাজীপুর জেলা বিসিক কার্যালয় এ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা, চামড়া ব্যবসায়ী, বিভিন্ন মসজিদ ও মাদরাসার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

সভায় গাজীপুর জেলা বিসিক কার্যালয়ের উপ-ব্যবস্থাপক মো: কামাল পারভেজ জানান, এ বছর গাজীপুর জেলায় কোরবানি পশুর চাহিদা এক লাখ ৮৭ হাজার ২৮১টি। এর বিপরীতে জেলায় কোরবানি পশুর প্রাপ্যতা রয়েছে এক লাখ ১৬ হাজার দু’টি। জেলায় এবার কোরবানি পশুর ঘাটতি রয়েছে ৭৫ হাজার ৬৮৭টির। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী এবার ঈদের দিন থেকে টানা সাত দিন ঢাকা থেকে কোনো চামড়া বাহিরে যাবে না এবং ঢাকার বাহির থেকে কোনো চামড়া ঢাকায় ঢুকবে না। ফলে স্থানীয় পর্যায়ে লবণ মাখিয়ে চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য প্রত্যেক এলাকায় চাহিদা অনুযায়ী লবণ সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, গাজীপুর জেলায় এবার ভোজ্য লবণের চাহিদা এক হাজার ২৭০ দশমিক ২৯ টন এবং চামড়া প্রক্রিয়াকরণের জন্য শিল্প লবণের চাহিদা এক হাজার ৩৪৩ দশমিক ৯৬ টন। এর বিপরীতে এবার জেলায় ভোজ্য লবণের মজুদ এক হাজার ৩৭৭ দশমিক ৪৯ টন এবং শিল্প লবণের মুজদ এক হাজার ৪২৫ দশমিক ৯৬ টন।

জেলায় এবার চাহিদার তুলনায় ১৮৯ দশমিক ২০ টন লবণ উদ্ধৃত রয়েছে বলেও সভায় দাবি করা হয়।

এবার চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য বিসিক পরিবেশিত বিশেষ লবণের (শিল্পলবণ) প্রতিকেজি মূল্য ধরা হয়েছে ১০ টাকা। গরু-মহিষের চামড়া প্রক্রিয়াকরণে আট থেকে ১০ কেজি এবং ছাগলের চামড়ায় তিন থেকে চার কেজি লবণ প্রয়োজন হয়। এ বছর ঢাকায় লবণযুক্ত গরু মহিষের চামড়া প্রতি স্কয়ার ফুট ৬০ টাকা, ঢাকার বাইরে ৫৫ টাকা এবং সারাদেশে লবণযুক্ত খাসির চামড়া ২৫ টাকা ও বকরির চামড়া ২০ টাকা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

সভায় জয়দেবপুর বাজারের চামড়া ব্যবসায়ী নিয়ত আলী বলেন, ‘ছাগলের চামড়ায় যে টাকার লবণ ও লেবার খরচ হয় তার অর্ধেক দামেও চামড়া বিক্রি করা যায় না। টঙ্গী বাজারে চামড়া বিক্রি করতে গেলে প্রতি চামড়ায় ৫০ টাকা করে টোল দিতে হয়। আর বিক্রি না হয়ে ফেরত এলেও প্রতি চামড়ায় ৩০ টাকা করে টোল দিয়ে আসতে হয়। তুরাগ নদের তীরে টঙ্গী বাজার চামড়ার হাটের চারপাশে ময়লা আবর্জনার স্তুপ।

সেখানে চামড়া বিক্রি করতে গেলে ময়লার দুর্গন্ধে টেকা যায় না বলেও তিনি উল্লেখ করেন।


আরো সংবাদ



premium cement