১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
কাঞ্চন পৌর নির্বাচন

রির্টার্নিং অফিসারের সামনে ২ মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের মারামারি : ভাঙচুর, শোকজ

রির্টার্নিং অফিসারের সামনে ২ মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের মারামারি : ভাঙচুর, শোকজ - ছবি : নয়া দিগন্ত

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কাঞ্চন পৌরসভা নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ওসির সামনে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। এ সময় উভয় পক্ষের সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে উপজেলা মিলনায়তনের দরজা ভাঙচুর করে।

সোমবার (১০ জুন) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা মিলনায়তনে এই ঘটনা ঘটে।

পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এক ঘণ্টা পর পুনরায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়।

এ ঘটনায় দুই মেয়র প্রার্থী আবুল বাসার বাদশা ও রফিকুল ইসলামকে শোকজ করেছে নির্বাচন কমিশন।

জানা যায়, আগামী ২৬ জুন কাঞ্চন পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষ্যে আজ প্রতীক বরাদ্দের দিন নির্ধারণ করা হয়। বেলা ১১টার দিকে মেয়র প্রার্থী বর্তমান মেয়র রফিকুল ইসলাম তার প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারী নিয়ে সামনের আসনে বসেন। এর কিছুক্ষণ পরে আরেক মেয়র প্রার্থী আবুল বাশার বাদশা তার সমর্থকদের নিয়ে শ্লোগান দিতে দিতে মিলনায়তন ভবনে প্রবেশ করে। এ সময় আবুল বাশার বাদশা তারা প্রতিদ্বন্দ্বী রফিকুল ইসলামকে তুই তুকারি করে পেছনের চেয়ারে গিয়ে বসতে বলেন। এ নিয়ে উভয়পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে উত্তেজিত লোকজন মিলনায়নের ভেতরে একপক্ষ আরেক পক্ষকে লক্ষ করে চেয়ার ছোড়াছুড়ি করে। দরজা ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ, আনসার এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এক ঘণ্টা পর দুপুর ১টার দিকে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিক বরাদ্দ দেয়া হয়।

মেয়র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে তিনি তার সমর্থনকারী ও প্রস্তাবকারীসহ সমর্থকদের নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার সম্মুখে চেয়ারে বসেন। কিছুক্ষণ পর বাদশাসহ তার লোকজন শ্লোগান দিতে দিতে প্রবেশ করে আমার লোকজনের সাথে খারাপ ব্যবহার করে। এ ঘটনায় তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেন।

অপর মেয়র প্রার্থী বাদশা বলেন, ভেতরে সামনের চেয়ারে মেয়র প্রার্থীরা বসবে কিন্তু সেখানে অন্যলোক বসায় কিছু কথাকাটাকাটি হয়েছে। পরে স্বাভাবিক হয়ে গেছে।

রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দিপক চন্দ্র সাহা বলেন, প্রতীক বরাদ্দের সময় লোকজন কিছুটা উত্তেজিত হয়ে উঠেছিল। আমরা পরে তাদের শান্ত করি। তবে নির্বাচনে এমন ঘটনা ঘটলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী ইস্তাফিজুল ইসলাম আকন্দ বলেন, ঘটনার পর দুই প্রার্থীকে শোকজ করা হয়েছে। তিনি বলেন,
আমার সামনে দুই পক্ষের সমর্থকদের লোকজন উত্তেজিত হয়ে উঠেছিল। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। তবে ঘটনাটি ন্যাক্কারজনক। আমি উভয় পক্ষকে প্রথমবারের মতো সাবধান করে দিয়েছি। পরবর্তীতে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।


আরো সংবাদ



premium cement
এক দিনে দেড় হাজার মার্কিনির সাজা মাফ করলেন বাইডেন ‘দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কোনো বিকল্প নেই’ পাটখাতে সংকট সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে : পাট উপদেষ্টা তিউনিসিয়ায় নৌকাডুবি : ৩ দিন সাগরে ভেসে ছিল শিশুটি বিএসএমএমইউ’র ভিসিকে অবরুদ্ধ করে স্নাতকোত্তর কোর্সে ঢোকার চেষ্টা ১৩ চিকিৎসকের অস্ট্রেলিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশী শিক্ষক নিহত ডিজিটাল যুগে ইসলামিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা ও চ্যালেঞ্জ থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি ও ফানুস নিষিদ্ধ রিজার্ভ বেড়ে এক হাজার ৯০০ কোটির ঘরে এবার শীত কম হবে, নাকি বেশি জনগণের হয়রানি রোধে জমির ডিজিটাল জরিপ করা হচ্ছে : মহাপরিচালক

সকল