চমৎকার বৈশ্বিক রাজনীতির উদাহরণ সৃষ্টি করে গেছেন শহীদ জিয়া : নিতাই রায় চৌধুরী
- ফরিদপুর প্রতিনিধি
- ০৭ জুন ২০২৪, ২০:২৭
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী নিতাই রায় চৌধুরী বলেছেন, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে একটি চমৎকার বৈশ্বিক রাজনীতির উদাহরণ সৃষ্টি করে গেছেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।
শুক্রবার (৭ জুন) বিকেলে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ফরিদপুর বিভাগীয় বিএনপির আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ঠান্ডা লড়াইয়ের যুগে একদিকে তিনি সমাজতান্ত্রিক বিশ্বের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন, আমেরিকার সাথে সম্পর্ক রেখেছেন। অন্যদিকে ইসলামী বিশ্বের সাথেও বাংলাদেশের চমৎকার সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। ধর্মীয় ক্ষেত্রে, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে, সামাজিক-রাজনৈতিক সকল ক্ষেত্রে সমস্ত কিছুর মধ্যে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত করে গেছেন।
শহরের পুলিশ স্কয়ার মার্কেটের তৃতীয় তলায় হলরুমের এ সেমিনারে ‘আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান : আইকনিক সফল দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা জহিরুল হক শাহজাদা মিয়া, কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, বিএনপির সহ-আইনবিষয়ক সম্পাদক জয়নুল আবেদীন মেজবাহ, সহ-গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ঈসা, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হুমায়ুন কবির।
সেমিনারে সঞ্চালকের দ্বায়িত্ব পালন করেন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান মাশুক ও সেলিমুজ্জামান সেলিম।
অন্য মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন কৃষকদলের সহ-সভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশ, জেলা আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট আলী আশরাফ নান্নু, ড্যাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. কে এম বাবর, জিয়া পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল হান্নান, শরিয়তপুরের অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান দিপু, রাজবাড়ীর অ্যাডভোকেট লিয়াকত আলী, মাদারিপুরের শাহজাহান সম্রাট ও গোপালগঞ্জের গাউসুর রহমান প্রমুখ।
মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জুলফিকার হোসেন জুয়েল, সদস্য সচিব এ কে এম কিবরিয়া স্বপন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফা মিরাজ, কৃষকদলের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক আলমগীর কবির, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি বেনজির আহমেদ তাবরীজ, জেলা যুবদলের সভাপতি রাজিব হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল হাসান কায়েস, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন মিঠু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাহরিয়ার শিথীল, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি ক্যাপ্টেন সোহাগসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তাগণ বলেন, জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রনায়ক হওয়ার আগে বাংলাদেশ এলে বহির্বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। শহীদ জিয়া রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরেই সর্বপ্রথম চীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। আমরা যদি ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে পারিবারিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে তার আদর্শকে ধারণ করি তাহলে কেউ আমাদের পিছিয়ে রাখতে পারবে না। তিনি গোটা জাতিকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে নিতে কাজ করেছেন। সকলকে তিনি জাগিয়ে তুলেছেন।
তারা বলেন, মাত্র তিন বছর রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে যেই সফলতা ও কর্মদক্ষতা দেখিয়ে গেছেন তা চির অম্লান হয়ে থাকবে। আগামীর রাষ্ট্রনায়কেরা তার জীবনদর্শন থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশ পরিচালনা করলে বাংলাদেশ সারাবিশ্বে আবার মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে।
বক্তাগণ সদ্য ঘোষিত বাজেটের সমালোচনা করে বলেন, যদি দেশ থেকে এতো লাখ লাখ হাজার কোটি টাকা পাচার হতে থাকে, ব্যাংকিং খাতে ধ্স চলতে থাকে, দ্রব্যমূল্য বাড়তেই থাকে, তাহলে এতো এতো কোটি টাকার বাজেট দিয়ে কোনো লাভ হবে না।