১১ বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড
- ফরিদপুর প্রতিনিধি
- ০৪ জুন ২০২৪, ১৮:১৬
ফরিদপুরে ১১ বছরের মেয়ে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে এক যুবকের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৪ জুন) দুপুর ২টার দিকে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো: হাফিজুর রহমান এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্ত ওই যুবকের নাম রাসেল শিকদার (২৩)। তিনি ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের ইছাডাঙ্গা গ্রামের মনোয়ার শিকদারের ছেলে। একই গ্রামের মুদি দোকানি মুক্তার হোসেন শিকদারের মেয়ে ফারিয়াকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।
নিহত ফারিহা পার্শ্ববর্তী গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার নড়াইল এম এ মান্নান উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ছিল। মুদী দোকানি মোক্তার হোসেনের পাঁচ মেয়ের মধ্যে ফারিয়া চতুর্থ ছিল।
জানা যায়, ২০২২ সালের ১৪ আগস্ট বিকেলে মুক্তার হোসেনের মুদি দোকান থেকে বাকিতে সদাই কিনে রাসেল। সন্ধ্যায় সেই টাকা নেয়ার জন্য ফারিয়াকে তাদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। রাত ৯টার দিকে রাসেলদের বাড়ির বাথরুম থেকে হাতপা বাধা অবস্থায় ফারিয়াকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় পরেরদিন ফারিয়ার বাবা রাসেল শিকদারের বিরুদ্ধে বোয়ালমারী থানায় একটি মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বোয়ালমারী থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোহাম্মদ আজাদ হোসেন গত বছরের ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট স্বপন পাল সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ফারিয়াকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে ৩০২ ধারায় রাসেল শিকদারকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। একইসাথে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নিযাতন দমন আইনের ৯ (৪)(খ) ধারায় দোষী সাবস্থ করে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন ফারিয়ার মা জলি বেগম। তিনি দ্রুত এ রায় কার্যকরসহ তার পরিবারের নিরাপত্তার দাবি জানান।
রায় ঘোষণার সময় আসামি রাসেল শিকদার আদালতের কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন। পরে তাকে জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা