‘মা ছাড়া আমার কিছু নেই, আমার পাশে দাঁড়ান’
- মুহিব্বুল্লাহ বচ্চন, পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ)
- ০১ জুন ২০২৪, ১৩:১৫
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার ক্যান্সার আক্রান্ত এক যুবক ফেসবুকে আবেগঘন স্ট্যাটাসের মাধ্যমে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। অর্থাভাবে তার চিকিৎসা বন্ধ। এজন্য সবার সহযোগিতা চেয়েছেন এবং বেঁচে থাকার আকুতি জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩০মে) জারিফ নিলয় নামে ব্যবহৃত আইডি থেকে এই পোস্টটি করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জারিফ নিলয় নামে ওই আইডির মালিক মাসুদ রানা (২৩) নামের এক যুবক। তিনি পাকুন্দিয়া উপজেলার চরফরাদী ইউনিয়নের চরফরাদী গ্রামের মরহুম চাঁন মিয়ার ছেলে। তিনি পাকুন্দিয়া সরকারি কলেজে ডিগ্রী দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে গলায় টিউমার থেকে ক্যান্সার ধরা পড়ে তার। বন্ধু-বান্ধব, স্বজন ও শুভাকাঙ্খীদের সহযোগিতায় তখন চিকিৎসা শুরু হলেও মাঝ পথে অর্থাভাবে চিকিৎসা বন্ধ থাকে। এতে বর্তমানে তার অবস্থা অনেকটাই খারাপ। তীব্র ব্যাথার যন্ত্রণায় কাতর হয়ে দিন কাটছে তার। তাই সবার সহযোগিতা চেয়ে তিনি ফেসবুকে পোস্টটি করেন।
পাঠকদের জন্য ফেসবুক পোস্টের লিখাটি হুবহু তুলে ধরা হলো, ‘এড়িয়ে যাবেন নাহ আমাকে! নতুন করে কিছু বলার নেই। সবাই জানেন আমার টিউমার ক্যান্সার ধরা পড়ছে-এটা শুনে নিজের যতটুকু খারাপ লাগছিল তার চেয়ে আমার বন্ধুদের মনে আঘাত লেগেছে। ২৩ সালের জুনে চিকিৎসা শুরু হয় প্রায় ৬ লাখ টাকা লাগবে জেনে ভেঙে পড়েছিলাম। আমার বন্ধুরা আমার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। ৬ সাইকেল কেমোথেরাপি ৩টা দিয়ে অনেকটা সুস্থ হয়ে গেছিলাম। ঘাড়ের টিউমার মিলিয়ে ছিল। কিন্তু প্রতি কেমোথেরাপি ৭০ হাজার হওয়ায় আমি আর দিতে পারিনি। চিকিৎসা বন্ধ ৭টা মাস ফেসবুক থেকে দূরে বন্ধুদের থেকে কারো সাথে এ ব্যাপারে কথা বলিনি। অনেকেই জানে চিকিৎসা চলছে কিন্তু নাহ। যাক আমার কারো প্রতি কোনো অভিযোগ নেই। যেটুকু করছেন চির কৃতজ্ঞ থাকলাম। এখন আমার শরীরের অবস্থা আবার খুব খারাপ। অর্ধেক চিকিৎসা করে না করার জন্য সমস্যা বিরাট রূপে দাঁড়িয়েছে। এখন আমার কাছের বন্ধুরা আমাকে বলতাছে তুমি চুপ কেন আমরা আছি তো এভাবে মরতে দিবো না। সত্যিই চুপ করে ছিলাম ভাগ্যটাকে মেনে নিয়েছিলাম। গরীব মানুষের বাঁচতে নেই। চাইছিলাম না বন্ধুদের আর বিরক্ত না করতে। আমার পরিবারসহ বন্ধুরা আমাকে ফোন করে বলছে নিলয় তুমি লড়াই করো আমরা পাশে আছি। এখন সরকারি ক্যান্সার হাসপাতালে ভর্তি আজকে ডাক্তার বলছে, আগের চেয়ে হাইপাওয়ার কেমোথেরাপি লাগবে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা লাগতে পারে। সবাই আমাকে আরেকটু সাহায্য করুন। আমি বেচেঁ থাকতে চাই সুস্থভাবে। আমার কিছু নেই এখন আমার মা ছাড়া। আপনারা আমার পাশে দাড়াঁন’।
বিকাশ পার্সোনাল-০১৭২৭১৫৯১৪৭, নগদ- ০১৪০৪৫৫৩৪৯১, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট -৩৪১৭৩০১০২৩০২৩, সোনালী ব্যাংক লিঃ পাকুন্দিয়া শাখা কিশোরগঞ্জ। আমি অসুস্থ থাকাকালীন কথা বলতে পারি না। নাজমুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করবেন। (বিকাশ ০১৭৮১৬৭৮৬৭১, নগদ ০১৪০৪৫৫৩৪৯১)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা