১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

রাজবাড়ীতে রাসেল ভাইপার আতঙ্কে ধান কাটার লোকের অভাব

রাজবাড়ীতে রাসেল ভাইপার আতঙ্কে ধান কাটার লোকের অভাব - ছবি : নয়া দিগন্ত

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের চরাঞ্চলে বিষধর রাসেল ভাইপার সাপের উপদ্রবে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা। এ বিষধর সাপের কামড়ে গত দেড় মাসে তিন কৃষকের মৃত্যুর খবরে জমি থেকে ফসল তুলতে ভয় পাচ্ছেন তারা।

শুক্রবার (৩১ মে) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়- উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের চর মজলিশপুর, মহিদাপুর, দেবীপুর, দৌলতদিয়া ইউনিয়নের চর করনেশনা, আংকের শেখের পাড়াসহ চরাঞ্চলে সাপের উপদ্রবে বাসিন্দারা ভয়ে ফসল কাটতে মাঠে যাচ্ছেন না।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, চর মজলিশপুর এলাকায় এপ্রিল মাসে জমি থেকে ভুট্টা তোলার সময় সাঈদুল শেখ নামের এক কৃষক সাপের কামড়ে মারা যান। তার আগে ২৯ মার্চ চর দেবীপুর মাঠে ময়না বেগম নামের এক কিষানিকে সাপে কামড়ায়। চিকিৎসা নেয়ার প্রায় দুই সপ্তাহ পর নিজ বাড়িতে মারা যান তিনি।

মহিদাপুরের এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ২৭ মে দুপুরে মাঠে কাজ করার সময় কৃষক শামীম শেখসহ কয়েকজন পদ্মা নদী থেকে একটি নৌকা টেনে তীরে তুলছিলেন। নৌকার নিচে থাকা রাসেল ভাইপার সাপ শামীমের পায়ে কামড় দেয়। লোকজন সাপটি মেরে তাকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরদিন বিকেলে শামীম মারা যান। এরপর গত বুধবার ধান কাটার সময় কৃষকরা আরেকটি রাসেল ভাইপার পিটিয়ে মারেন। এখন ভয়ে কেউ জমিতে নামতে ও চরে যেতে সাহস পাচ্ছে না।

স্থানীয় বান্দারা সাপ আতঙ্কে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য শেখ রাসেল মাহমুদ।

তিনি বলেন, পুরো চরাঞ্চলজুড়ে রাসেল ভাইপার সাপের কারণে কৃষকদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। কেউ জমিতে যেতে চাচ্ছে না এবং ধান, ভুট্টা কাটতে শ্রমিকও পাওয়া যাচ্ছে না। মাঝেমধ্যে কৃষকরা সাপ দেখে পিটিয়ে মেরে ফেলে মাটিতে পুঁতে ফেলছেন। প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হতে পারে।

গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ফারসিম তারান্নুম হক বলেন, গত মার্চ মাসে একজন, এপ্রিলে একজন ও মে মাসে দুজন সাপে কাটা রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়। মাঝেমধ্যে সাপে কাটা রোগী হাসপাতালে আসছে। এখন পর্যন্ত হাসপাতালে কেউ মারা যায়নি। তাছাড়া আমাদের হাসপাতালে সাপে কাটা রোগীদের অ্যান্টিভেনম ইনজেকশন রয়েছে। সাপে কাটা রোগী বা পরিবারের কেউ আতঙ্কিত না হয়ে রোগীকে ওঝার কাছে না নিয়ে সরাসরি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসতে হবে। সাপে কাটার পর সময়মতো চিকিৎসা দিতে পারলে রোগী বেঁচে যাবে। ওঝার কাছে নিয়ে মারা গেলে আমাদের কিছু করার নেই।

এ পরিস্থিতিতে গোয়ালন্দ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: খোকনউজ্জামান বিশেষ ধরনের জুতা পরে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন।

আর গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে রাসেল ভাইপারের মতো বিষধর সাপের উপদ্রব বাড়ায় কৃষকরা চিন্তিত। সাপের কামড় থেকে রক্ষা পেয়ে ক্ষেতের পাকা ধান কাটতে উপজেলা পরিষদ থেকে প্রথম অবস্থায় চরাঞ্চলের ১০০ জন কৃষককে গামবুট জুতা দেয়ার ঘোষণা দেন।

তিনি জানান, প্রয়োজনে শ্রমিকদের মধ্যেও বিতরণ করা হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
ডিএসইতে ১ ঘণ্টায় সূচক কমল ১০.৭১ পয়েন্ট রঙ তুলির আচড়ে প্রস্তুত হচ্ছে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ নরসিংদীর বেলাব অতিক্রম করছে আগরতলামুখী লংমার্চ আবু সাঈদের বাবাকে হেলিকপ্টারে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর স্ত্রীর জন্য ওষুধ কিনে বাড়ি আর ফেরা হলো না শহীদ রাকিবের গেইলের রেকর্ড ভাঙলেন মাহমুদুল্লাহ নিম্ন আদালতের বিচারকদের মতামত চেয়েছে সংস্কার কমিশন কুয়াকাটায় ইয়াবাসহ মাদককারারি গ্রেফতার দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা ভারতের উচিত চুক্তি অনুযায়ী শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানো : টবি ক্যাডম্যান দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে পুলিশের অভিযান

সকল