১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

এমপির প্রভাব ও নিরাপত্তার স্বার্থে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী

নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ফরিদপুরের সালথা উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী ওহিদুজ্জামান - ছবি : নয়া দিগন্ত

স্থানীয় এমপির প্রভাব এবং নিরাপত্তাগত কারণে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ফরিদপুরের সালথা উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী ওহিদুজ্জামান।

রোববার (১৯ মে) বিকেলে ফরিদপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।

এ সময় চেয়ারম্যান প্রার্থী ওহিদুজ্জামান বলেন, সালথা একটি দাঙ্গাপ্রবণ এলাকা। এখানে দাঙ্গা-হাঙ্গামা এলাকাবাসীর জন্য অভিশাপ হয়ে দেখা দিয়েছে। বিগত পাঁচ বছর যাবত ওয়াদুদ মাতুব্বর উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দ্বায়িত্ব পালনকালে সালথা উপজেলাকে একটি দাঙ্গাপ্রবণ এলাকায় পরিণত করেছেন।

তিনি বলেন, ইতোপূর্বে যাচাই-বাছাইয়ে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ওয়াদুদ মাতুব্বরের মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ার পরে আমাকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছিলো।

কিন্তু পরে হাইকোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত থেকে রোববার (১৯ মে) প্রার্থীতা ফিরে পান তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ওয়াদুদ মাতুব্বর। এরপর বিকেলে নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর ঘোষণা দেন ওহিদুজ্জামান।

ওহিদুজ্জামান বলেন, এখন আমি নির্বাচনকে ঘিরে সঙ্ঘাত-সহিংসতার আশঙ্কা করছি। এছাড়া নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার আশঙ্কাও করছি। এরই মধ্যে একজনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়েছে। তিনি এখন হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। এই অবস্থায় নির্বাচনের পরিবেশ নেই বলে মনে করছি। আমি চাই না নির্বাচনের কারণে আমিসহ আমার ভোটার ও সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হোক।

এছাড়া নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী তার প্রতিপক্ষ ওয়াদুদ মাতুব্বরকে সমর্থন দিয়েছেন উল্লেখ করে ওহিদুজ্জামান বলেন, আমি চাই না নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মাননীয় এমপি মহোদয়ের সাথে আমার সম্পর্কের অবনতি হোক। কারণ আমিও আওয়ামী লীগ করি এবং আমি সুদীর্ঘকাল আগে থেকে সংসদ উপনেতা সাজেদা চৌধুরীর নির্বাচন করেছি।

সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক মুজিবুল হকসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, আগামী ২১ মে তৃতীয় ধাপে সালথা উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে গত ২৩ এপ্রিল মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে নিজ স্ত্রীর নামে লাভজনক প্রতিষ্ঠান থাকায় বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান প্রার্থী মো: ওয়াদুদ মাতুব্বরের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। পরে জেলা প্রশাসকের কাছে তিনি আপিল করলে সেখানেও তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। এরপর ওয়াদুদ মাতুব্বর মনোনয়নপত্র ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। হাইকোর্ট ৫ মে তার রিট সরাসরি খারিজ করে দেন। পরে ওয়াদুদ মাতুব্বর আপিল বিভাগে আবেদন করেন। ১৩ মে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেয়ার আদেশ দেন। তার বিরুদ্ধে অপর প্রার্থী ওয়াহিদুজ্জামান আপিল বিভাগে আবেদন করেন। কিন্তু সে আবেদনে সাড়া দেননি আপিল বিভাগ।


আরো সংবাদ



premium cement