মানিকগঞ্জে সান লাইফ ইন্স্যুরেন্সের গ্রাহকদের টাকা না দেয়ায় মানববন্ধন
- মানিকগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
- ১৬ মে ২০২৪, ১৮:৪৯
মানিকগঞ্জে সান লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের তাকাফুল প্রকল্পের টাকার মেয়াদ ৪/৫ বছর উত্তীর্ণ হয়ে গেলেও হাজার হাজার গ্রাহকদের টাকা না দেয়ায় মানববন্ধন করেছেন গ্রাহকরা।
সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপনের এ কোম্পানিটি গ্রাহকদের টাকা দিচ্ছে না বলে অভিযোগ গ্রাহকদের। গ্রাহকদের মন্ত্রীর নামে ভয় দেখিয়ে কোনো প্রতিবাদ না করার হুমকি দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে মানিকগঞ্জ প্রেস ক্লাব চত্বরে ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন গ্রাহক আলেয়া বেগম, শাহিনুর রহমান, মো: কাদের, সুচিত্র দাস, কামাল হোসেন, মুন্নু মিয়া প্রমুখ।
বক্তব্যে সদর উপজেলার মত্ত ডাকুয়াপাড়ার নুর আহম্মদ শিকদারের স্ত্রী আলেয়া বেগম বলেন, ইন্স্যুরেন্সের টাকা দেয়ার মেয়াদ শেষ হয়েছে ৪ থেকে ৫ বছর হলো। এখন পর্যন্ত আমার একটা টাকাও দিলো না। আমি মাটি কেটে ২ লাখ ৭২ হাজার টাকা সান লাইফ ইন্স্যুরেন্সে দিয়েছি। এক বেলা না খেয়ে। আমার অনেক কষ্টের টাকা। ভেবেছিলাম টাকাগুলো পেলে বাড়িতে একটা ঘর দেবো। যাতে বৃষ্টির দিনে ঘরের ভেতরে ভিজতে না হয়।
কয়েকজন গ্রাহক নাম না বলার শর্তে বলেন, আমরা সাধারণ মানুষ। আমরা আগে টাকা ফেরত চাইলে বা কোনো প্রতিবাদ করতে চাইলেই আমাদের মন্ত্রীর ভয় দেখানো হতো। এখনো তিনি এমপি। তাই আমার নিজের টাকা চাইতেও ভয় পাই।
গ্রাহক শাহিনুর রহমান বলেন, ‘আমার ইন্স্যুরেন্সের টাকার দেয়ার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। সান লাইফ ইন্স্যুরেন্সের অফিসে গেলে শুধু বলে কয়েক দিনের মধ্যে আপনাদের টাকা দিয়ে দিবো। আবার চেক দিয়ে বলে ১/২ মাস পরে এই চেক ব্যাংকে জমা দিয়ে টাকা উঠিয়ে নিয়েন। কিছুদিন পরে ডেকে বলে এই চেক দিয়ে টাকা পাবেন না। চেক আবার ফেরত নিয়ে যায়। এভাবেই ৫ বছর ধরে ঘুরছি টাকা জন্য।’
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জের বাসস্ট্যান্ডের জিইএম (জেম) টাওয়ারের সান লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের তাকাফুল প্রকল্পের এডিএম অজিত চন্দ্র দাস বলেন,‘আমার অধীনে ৩০০ জন গ্রাহক রয়েছে। এদের মধ্যে ৪৫ জনকে চেক দেয়া হয়েছিল। সেই চেকগুলো জাতীয় নির্বাচনের আগে গ্রাহকদের কাছ থেকে ফেরত নেয়া হয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশে।
তিনি বলেন, ‘এই সান লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিটি সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন সাহেবের ছিল। আর আমরা তখনই মানুষের টাকা প্রিমিয়াম হিসাবে এনে জমা করেছি। এখন কোম্পানিটি গ্রীণ ডেল্টা কোম্পানির কাছে বিক্রি হয়ে গেছে, কিন্তু আমার গ্রাহকদের টাকা দেয়া হচ্ছে না।’
তিনি আরো জানান, ‘কর্তৃপক্ষ চেকগুলো ফেরত নেয়ার পরে গ্রাহকদের নতুন কোনো চেক বা টাকা ফেরতের ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা পায়নি। তবে তিনি গ্রাহদের ভোগান্তির কথা শিকার করেন।’
গ্রাহক শাহীন আলম বলেন, ‘আমরা অনেক দিন যাবত টাকা জন্যে ঘুরছি, কিন্তু টাকা দিচ্ছে না। এতদিন কেন কোনো অভিযোগ করেননি। তখন তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা সাধারণ মানুষ, আমরা কিভাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কথা বলি। এখন তো কথা না বলে কোনো উপায় নেই।’
রুবি আক্তার বলেন, ‘অফিসের লোকজন বলেছে মন্ত্রী সাহেবের নির্বাচনটা হোক তারপর আপনারা টাকা পাবেন। কিন্তু এখনো আমাদের টাকার কোনো খবর নাই।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা