বন্দরে ২ পোলিং এজেন্ট আটক, যুবকের কারাদণ্ড
- নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
- ০৮ মে ২০২৪, ১৯:১৪
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দুই এজেন্টকে আটক এবং এক যুবককে জাল ভোট দেয়ার অভিযোগে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। কলাবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে মনির হোসেন মিনু নামে এক পোলিং এজেন্টকে আটক করা হয়েছে। ভোটকক্ষে বসে মোবাইল ফোন ব্যবহার করার সময় তাকে আটক করা হয়েছে।
এছাড়া আরিফ নামে একজন পোলিং এজেন্টকে একই অভিযোগে আটক করা হয়। অপর দিকে জাল ভোট দেয়ার অভিযোগে এক যুবককে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার (৮ মে) দুপুরে বন্দর রেললাইন এলাকায় ১৭ নম্বর ভোটকেন্দ্রে এজেন্টে আটকের এই ঘটনা ঘটে। অপর দিকে বিকেলে মদনপুর ইউনিয়নের লাউসার স্কুলে জাল ভোট দেয়ার অভিযোগে কারাদণ্ড দেয়া হয় যুবককে।
আটক মনির হোসেন হেলিকপ্টার প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহমুদুর হাসান শুভর পোলিং এজেন্ট হিসেবে বন্দর ১ নম্বর ওয়ার্ডের ১৭ নম্বর ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বে ছিলেন। তবে তিনি নিজেকে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মাকসুদ হোসেনের এজেন্ট হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রথমে কান ধরে ক্ষমা প্রার্থনা করেন ওই পোলিং এজেন্ট। তিনি বলেন, আমি ভুল করেছি। এমনটা আর হবে না। আমার নাম মনির। আমি আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মাকসুদ হোসেনের এজেন্ট। তবে তার কার্ডে লেখা ছিল, তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহমুদুল হোসেন শুভর এজেন্ট।
আটকের বিষয়ে বন্দর কলাবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার আইয়ুব আলী ভূঁইয়া বলেন, আমরা সবাইকে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে নিষেধ করেছি। কিন্তু তিনি মোবাইল ব্যবহার করায় তাকে সাময়িকভাবে আটক করা হয়েছে।
এর আগে, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সরকারি হাজী ইব্রাহিম আলম চান স্কুলের ভোটকেন্দ্র থেকে আরিফ নামে একজন পোলিং এজেন্টকে আটক করা হয়। তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী এম এ রশিদের এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাকেও কেন্দ্রের ভোটকক্ষের ভেতর মোবাইল ফোন ব্যবহার করায় আটক করা হয়।
এদিকে নারায়ণগঞ্জের বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে জাল ভোট দেয়ায় নাঈম নামে একজনকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার বিকেলে উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের লাউসার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী এম এ রশীদের পক্ষে জালভোট দেয়ার সময় পোলিং এজেন্ট নারায়ণগঞ্জের বন্দরের আসাদ মিয়ার ছেলে নাঈম ওরফে ওমর ফারুকে আটক করেছেন কেন্দ্রের সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার মামুন। পরে তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেয়া হয়েছে। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো: ইমরান মোল্লা এ সাজা প্রদান করেন।