সিরাজদিখান থানার ওসিসহ পুলিশের ১২ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা
- মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
- ০৫ মে ২০২৪, ১৯:৫২
মুন্সীগঞ্জে নির্যাতনের অভিযোগে সিরাজদিখান থানার ওসিসহ পুলিশের ১২ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলাটি করেছেন সিরাজদিখান উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বারেক বেপারী। তিনি বর্তমানে জেলে রয়েছেন।
রোববার (৫ মে) দুপুর ২টায় জেলা দায়রা ও জজ আদালতে মামলাটি উঠলে শুনানি শেষে মামলাটি নথিভুক্ত করার আদেশ দেয়া হয়। এ সময় মামলাটি সিরাজদিখান থানায় এফআইআরভুক্ত করারও নির্দেশ দেন জেলা জজ আদালত।
মামলা সূত্র থেকে জানা যায়, কেয়াইন ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান আশ্রাফ আলী ও সাবেক চেয়ারম্যান বারেক বেপারীর আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বের জেরে কুচিয়ামোড়া কলেজ গেটে মারামারি হয়। এটিকে কেন্দ্র করে পুলিশ ভাইস চেয়ারম্যান নাহিদের পক্ষ নিয়ে রশুনিয়া গ্রামের চকে (২২ এপ্রিল) আটজনকে কৃষি জমিতে নিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর নির্যাতন করে। কলেজ গেইট থেকে আটক করে পাঁচ কিলোমিটার দূরে কৃষি জমিতে নিয়ে মারধর শেষে থানায় নিয়ে আসে।
ভোররাতে আরো তিনজনকে আটক করে মোট ১১ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়। এরপর সকাল ১০টায় আদালতে সোপর্দ করে।
আটক আসামিদের স্থান থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে নিয়ে শারীরিক নির্যাতন করার অপরাধে ১৫ (১) ধারায় মামলাটি করেন বারেক বেপারী।
বারেক বেপারীর বাড়ির পার্শ্ববর্তী বাসিন্দা আক্তার হোসেন জানান, ২২ এপ্রিল কলেজের সামনে মারামারির ঘটনায় কলেজে গেইটের সামনে থেকে বারেক বেপারী, শেখ ইস্রাফিল, ফরহাদ হোসাইনসহ ১১ জনকে আটক করে পুলিশ নিয়ে যায়। বর্তমানে তারা জেল হাজতে আছেন। জেলে থেকেই উকিলের মাধ্যমে বারেক বেপারী ওসিসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে আসামি নির্যাতনের মামলা করেন।
সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুজাহিদুল ইসলাম, ওসি (তদন্ত) মোক্তার হোসেন ও এসআই রতনসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মুন্সীগঞ্জ আদালতে মামলাটি করা হয়েছে।
বর্তমান চেয়ারম্যান আশ্রাব আলী জানান, গত ১০ মার্চ পার্টি অফিস ভাঙচুরকে কেন্দ্র করে যে ঘটনাটি ঘটে তা বারেক বেপারীরা নিজেরাই ঘটিয়েছে। ২২ এপ্রিল কলেজ গেইটে কি হয়েছে আমার জানা নেই। বারেক বেপারী পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা দিবে এটা আগেই জানতাম তবে মামলা দিয়েছে কিনা আমার জানা নেই। আমাদের গ্রুপের যোগাযোগ রয়েছে ভাইস চেয়ারম্যান নাহিদের সাথে।
সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুজাহিদুল ইসলাম মোবাইলে মামলার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। ওসি (তদন্ত) জানান, মামলা হয়েছে শুনতেছি। তবে এই ঘটনার সাথে আমি জড়িত নই।
কোর্ট ইন্সপেক্টর মো: জামাল জানান, মামলা রুজু হয়েছে শুনেছি তবে মামলার কপি এখনো হাতে পাইনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা