১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

কিশোরগঞ্জে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ

- ছবি : নয়া দিগন্ত

সারাদেশের মতো কিশোরগঞ্জে টানা কয়েক দিন ধরেই তীব্র তাপপ্রবাহ বইছে। আজও সেখানে তাপমাত্রা ছিল ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। রোদে পুড়ে নষ্ট হচ্ছে ফসলের মাঠ। ঝরে পড়ছে আম-জাম, লিচু-বাতাবিলেবুসহ বিভিন্ন গাছের ফুল-ফল ও গুটি। তীব্র গরম থেকে রক্ষা পেতে তাই বৃষ্টি কামনা করে নামাজ আদায় করেছেন জেলার বাজিতপুরের বাসিন্দারা।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সরারচর ইউনিয়নের সরারচর ইসলামিয়া ডিগ্রি ফাজিল মাদরাসা মাঠে এ নামাজ আদায় করা হয়। নামাজ শেষে আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করে বিশেষ দোয়া করেন মুসল্লিরা।

স্থানীয় যুব সমাজ ও এলাকাবাসী মিলে নামাজের আয়োজন করেন। ইসলাম ধর্মে এ নামাজকে বলা হয় ‘ইসতিসকার নামাজ’।

আয়োজকেরা জানান, বর্তমানে তীব্র গরমের কারণে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা এক ধরনের বড় দুর্যোগ। দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় মানুষ পানির জন্য হাহাকার করছে। আল্লাহ সালাতের মাধ্যমে বৃষ্টি বা পানির জন্য দোয়া চাইতে বলেছেন। তাই বৃষ্টির জন্য এই প্রার্থনা।

নামাজ পড়তে আসা মোবারক উল্লাহ নামের এক মুসল্লি বলেন, ‘যেকোনো বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা পেতে আল্লাহর কাছেই হাত পাততে হয়। নামাজ শেষে আমরা বিশেষ মোনাজাত করেছি। আশা করছি, আল্লাহ রহমতের বৃষ্টি বর্ষণ করবেন।’

স্থানীয় বাসিন্দা ডা. ইয়াকুব আলী বলেন, ‘গরমে আমাদের হাঁসফাঁস অবস্থা। কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা ক্রমাগত বাড়ছেই। এজন্য আমরা মহান আল্লাহর দরবারে প্রশান্তির বৃষ্টি চেয়েছি। আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন।’

মাদরাসার মাঠে খোলা আকাশের নিচে নামাজ ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বাজিতপুর থানা মসজিদের সাবেক খতিব ক্বারী আমিনুল ইসলাম জালালী।

এ প্রসঙ্গে মাওলানা জালালী বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে এখানে বৃষ্টি নেই। অনাবৃষ্টির কারণে মানুষ কষ্ট পাচ্ছে, গবাদিপশু কষ্ট পাচ্ছে। ক্ষেত-খামার ও বাগানে পানির অভাব দেখা দিয়েছে। এ অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে রাসূলের সুন্নাত অনুযায়ী দুই রাকাত নামাজ আদায় করে বৃষ্টি ও পানির জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement