সালথায় বৃষ্টির জন্য নামাজ
- মোঃ রেজাউল করিম, সালথা (ফরিদপুর)
- ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪৮
প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ আর প্রখর রোদে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিশেষ করে চলমান গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন ফরিদপুরের সালথা উপজেলার খেটে খাওয়া কৃষকরা। একদিকে মাঠে পুড়ছে তাদের সোনালী ফসল, অন্যদিকে ফসল বাঁচাতে মাঠে গিয়ে পুড়ছে তাদের শরীর। এমন অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে বৃষ্টির প্রার্থনা করে প্রচণ্ড রোদের মধ্যে ফসলি মাঠে বিশেষ নামাজ (সালাতুল ইস্তিসকা) আদায় করেন এলাকাবাসী।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে সালথা উপজেলা সদর মাঠে এই নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলার শতশত কৃষক ও সাধারণ মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। নামাজ শেষে বৃষ্টির জন্য বিশেষ মোনাজাত হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন সালথা মডেল মসজিদের ইমাম মুফতী রবিউল ইসলাম।
সরেমজিনে গিয়ে দেখা যায়, মহান আল্লাহর রহমতের আশায় মোনাজাত ধরে কাঁদছেন ইমাম। তার সাথে তাল মিলিয়ে শতাধিক কৃষক অঝোঁরে কাঁদছেন। কৃষকদের চোখের পানি গড়িয়ে পড়ছে ফসলি জমির মাটিতে। এ সময় কৃষকদের কান্নায় ভারি হয়ে উঠে সেখানকার পরিবেশ। এতে স্পষ্ট বোঝা যায়, এই খরায় মাঠে থাকা সোনালী আঁশ পাট নিয়ে কতটা দুঃশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা।
মোনাজাত শেষে স্থানীয় কৃষক মো: বকুল মোল্যা ও ফারুক হোসেন বলেন, প্রচণ্ড গরম আর রোদে পাগল হয়ে যাচ্ছি আমরা। এমন অবস্থায় বাড়িতে টিনের ঘরে বসবাস করা মুশকিল হয়ে পড়েছে। আবার মাঠে আমাদের বিঘার পর বিঘা জমির পাটের চারা পুড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এই রোদে বৃষ্টি না হলে জমির পাট পুড়ে ছাই হয়ে যাবে। এতে আমরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাবে।
তারা আরো বলেন, যে কোনো বিপদে আমরা মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে থাকি। আল্লাহ আমাদের ক্ষমা না করলে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহ থেকেও আমরা মুক্তি পাবো না। তাই আজ বিশেষ নামাজ আদায় করে মহান আল্লাহর দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করেছি। পাশাপশি জমির ফসল বাঁচাতে বৃষ্টির জন্য আল্লাহর রহমত চেয়েছি। এর মাধ্যমে মহান আল্লাহ রহমত বর্ষণ করবেন বলে আশা করি।
উল্লেখ্য, এবার সালথা উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে প্রায় ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে সোনালী আঁশ পাট আবাদ করছেন কৃষকরা। প্রচণ্ড রোদ আর গরমে কৃষকদের ক্ষেতের সেই পাট ঝুঁকিতে পড়েছে। আর কয়েকদিন এমন আবহাওয়া থাকলে জমির পাট পুড়ে ছাই হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা