রাজবাড়ীতে ভুয়া নারী ম্যাজিস্ট্রেট গ্রেফতার

রাজবাড়ী থেকে হাইকোর্টের ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দেয়া মুক্তা পারভিন (৩৪) নামে এক নারী প্রতারককে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১০)। মুক্তাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে চাকুরি দেয়ার প্রলোভনে এক কোটি বিশ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে।

মঙ্গলবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব বিষয়টি জানায়। এর আগে, সোমবার রাজবাড়ী জেলা শহরের অনুপম মার্কেট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

র‌্যাব জানায়, বেশ কিছু দিন ধরে রাজশাহীর বোয়ালিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় একটি সঙ্ঘবন্ধ প্রতারক চক্র নিজেদেরকে কখনো হাইকোর্টের ম্যাজিস্ট্রেট, কখনো ডিজিএফআই-এর মেজর ইত্যাদি পরিচয় দিয়ে সহজ সরল ও নিরীহ লোকজনদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে আসছে। চক্রটি রাজশাহী জেলার চন্দ্রিমা থানাধীন ছোটবনগ্রাম এলাকার মরহুম ইমাম শেখের ছেলে শেখ আব্দুল্লাহর (৩৭) কাছ থেকে বিভিন্ন সরকারি দফতরে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে সর্বমোট এক কোটি বিশ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। একপর্যায় ভিকটিম শেখ আব্দুল্লাহ বুঝতে পারেন যে সে প্রতারণার স্বীকার হয়েছেন। পরে শেখ আব্দুল্লাহ রাজশাহীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে প্রতারণাকারী চক্রের অন্যতম মূল হোতা মুক্তা পারভিনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের বিষয়টি জানতে পেরে চক্রটির সকল আসামি আত্মগোপনে চলে যায়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি র‌্যাব আরো জানান, বিষয়টি জানতে পেরে র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল প্রতারক চক্রটিকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় ১ এপ্রিল (সোমবার) র‌্যাব-১০-এর আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় রাজবাড়ী জেলার সদর এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে ভুয়া হাইকোর্টের ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে প্রতারণাকারী চক্রের অন্যতম মূল হোতা এজাহারনামীয় পলাতক আসামি মুক্তা পারভিনকে গ্রেফতার করে।

র‌্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার আসামি মুক্তা প্রতারণাকারী চক্রের অন্যতম মূল হোতা বলে স্বীকার করেছেন। তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।