গোয়ালন্দের মাঠে মাঠে হালি পেঁয়াজের বাম্পার ফলন
- মেহেদুল হাসান আক্কাছ, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী)
- ৩১ মার্চ ২০২৪, ১৪:০৯, আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২৪, ১৫:০১
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে মুড়িকাটা পেঁয়াজে পাশাপাশি হালি পেঁয়াজেও কৃষকরা বাম্পার ফলন পেয়েছে। হালি পেঁয়াজ পরিবেশ সম্মতভাবে রাখি মাল হিসেবে ঘরে মজুদ রেখে বাজারজাত বা খাদ্য হিসেবে সারাবছর ব্যবহার করা যায়।
উপজেলার পদ্মা নদীর চরাঞ্চলসহ প্রায় সব এলাকার আবাদি জমিতে কমবেশি হালি পিঁয়াজের আবাদ হয়েছে। জমি থেকে পরিপক্ব লাল টকটকে পেঁয়াজ সংগ্রহকালে কৃষকদের চোখে মুখে আনন্দের হাসি দেখা যায়। তবে আগের তুলনায় বাজার দর কিছুটা কম পাওয়ায় অনেকটা নাখোশ তারা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চারটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মোট ১৭০ হেক্টর বা এক হাজার ২৭৫ বিঘা জমিতে এ বছর হালি পেঁয়াজের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে উজানচর ইউনিয়নে সর্বোচ্চ ৩৪৫ বিঘা জমিতে হালি পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে।
কৃষকরা জানিয়েছে, এ বছর তারা বিঘা প্রতি ৫০ থেকে ৬০ মন হালি পেঁয়াজ উৎপাদন পেয়েছেন। তবে বেড়িবাঁধ বেষ্টিত এলাকার চেয়ে পদ্মা পাড়ের চরাঞ্চলের বেশিভাগ জমিতে এর আবাদ বেশি ভালো হয়েছে। গোয়ালন্দে সাধারণত লালতীর ও তাহেরপুরী জাতের পেঁয়াজ আবাদ হয়ে থাকে।
সরেজমিনে উপজেলার উজানর, দৌলতদিয়া, দেবগ্রাম, ছোটভাকলা ইউনিয়নের বিভিন্ন অঞ্চলের মাঠ ঘুরে লাল টকটকে পেঁয়াজ তুলতে দেখা যায়। দিগন্ত জোড়া মাঠকে মাঠ পেঁয়াজ আর পেঁয়াজ। কৃষকরা ক্ষেতে বসে কেউ পেঁয়াজ তুলছে, কেউ বস্তাজাত করছে। কেউবা ভ্যানে করে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছে। কোথাও আবার বেপারীরা মাঠ থেকেই কৃষকদের সাথে দাম দর মিটিয়ে কিনে নিচ্ছে। প্রায় জমিতেই প্লাস্টিকের নেট বস্তায় লাল সাদা রঙের পেঁয়াজ ভরা সারি সারি বস্তা দাঁড় করানো দেখা যায়।
দৌলতদিয়া যদু ফকির পাড়ার বারেক শেখ, আজাদ সরদার, সিরাজ খাঁ পাড়ার শফিকুল, ছোটভাকলা রসুলপুর গ্রামের মজিবর শেখ, রাজ্জাক শেখ জানান, ভালো ফলন পেয়ে তারা খুশি। তবে আগের তুলনায় দাম ভালো পাচ্ছেন না।
দৌলতদিয়া ইউনিয়ন কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তা ইমরান হোসেন বলেন, ‘গোয়ালন্দে আমরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যতটা জানি কৃষকরা সার বীজ পেয়ে উপযুক্ত সময়ে চাষ করতে পারায় ভালো ফলন পেয়েছে।’
গোয়ালন্দ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: খোকন উজ্জামান জানান, গোয়ালন্দের কৃষকরা এখন আগের চেয়ে অনেকটা সচেতন। প্রত্যেক মাঠে এবার পেঁয়াজসহ সব ফসলই ভালো আবাদ হয়েছে। প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের আরো সচেতন ও অভিজ্ঞ করে নতুন প্রযুক্তির চাষাবাদ পদ্ধতির মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা