১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় ঘূর্ণিঝড়ে ২২ গ্রাম লন্ডভন্ড

- ছবি : নয়া দিগন্ত

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় ঘূর্ণিঝড়ে দু’টি ইউনিয়নের কমপক্ষে ২২টি গ্রাম লন্ডভন্ড হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার পাচুড়িয়া ও বানা ইউনিয়নের এসব গ্রামে ঘূর্ণিঝড়ের সাথে শিলা বৃষ্টি হয়। এতে অসংখ্য গাছপালা ভেঙে এবং উপড়ে পড়েছে। অনেক জায়গায় সড়কের ওপরে গাছ পড়ে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে অন্ধকার হয়ে যায় দু’টি ইউনিয়নের গোটা কয়েকটি গ্রাম।

বানা ইউনিয়নের কঠুরাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা ইমরান হোসেন বলেন, ‘বানা ইউনিয়নের শিরগ্রাম, গড়ানিয়া, পাকুড়িয়া, টাবনী, টোনাপাড়া, শিয়ালদি চরপাড়া, জয়দেবপুর, আউশির হাট, কঠুরাকান্দি, মাজপাড়া, আড়পাড়াসহ কমপক্ষে ১৪টি গ্রামে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। ঝড়ে কাচাঁ-আধাপাকা ঘরবাড়ি, গাছপালা, পেঁয়াজ, রসুন, মশুরি, ধনিয়া, ধান, গমসহ কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।’

পাচুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য (মেম্বার) মো: আমিনুর রহমান বলেন, ‘ঝড়ে আমার ঘরবাড়ি, ফসলি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও যুগীবরাট, ভাটপাড়া, চাদড়া, পাচুড়িয়া, দেউলি, চরনারানদিয়া, ধুলজুড়ি, চরভাটপাড়াসহ আট গ্রামে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।’

পাচুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমি এই মুহূর্তে ঢাকায় আছি। তবে শুনেছি আমার পাচুড়িয়া ইউনিয়ন ও পাশের বানা ইউনিয়নে ঝড়ে নয়টি গ্রামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। খোঁজ খবর নিয়ে পরবর্তীতে বিস্তারিত তথ্য জানানো যাবে।’

আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহিদুল হাসান জাহিদ বলেন, ‘বুধবার রাত ১টার দিকে ঘূর্ণিঝড়ে দুই ইউনিয়নের কমপক্ষে ২২টি গ্রামের প্রায় শতাধিক কাচাপাকা বাড়িঘর ও কয়েক শ’ গাছপালা উপড়ে যায়। বিস্তীর্ণ জমির ফসল বিনষ্ট হয়েছে। অনেকেই ঘরবাড়ি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নেন। ঘটনাস্থলে পৌছে তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে কাজ শুরু করা হয়েছে।’

এ বিষয়ে বানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: হারুন অর রশিদ শরীফের কাছে জানতে মোবাইলে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি। মোবাইল নাম্বারটা বন্ধ পাওয়া যায়।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আলফাডাঙ্গা সাব জোনাল অফিসের এজিএম ফাহিম হাসান বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের ফলে সেখানে কয়েকটি গ্রামে বিদ্যুৎ সঞ্চালন বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুতের তার ছিড়ে গেছে, কয়েকটি খুঁটি ভেঙ্গে আঁকা বাকা হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করতে কাজ চলছে।

এ ব্যাপারে আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমীন ইয়াসমিনের মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি। তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো: কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, ‘স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও জন প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে ঘটনাস্থলে পৌছে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করতে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সর্বাত্মক সাহায্য সহযোগিতা করা হবে।’


আরো সংবাদ



premium cement