১৮ মে ২০২৪, ০৪ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫
`


করোনা উপসর্গ থাকায় বাড়ি আসতে মানা, লাশ দাফনে এলাকাবাসীর বাধা

করোনা উপসর্গ থাকায় বাড়ি আসতে মানা, লাশ দাফনে এলাকাবাসীর বাধা - ফাইল ছবি

ঢাকায় একটি প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা প্রহরীর কাজ করতেন নাজিম উদ্দিন তালুকদার (৬৫)। সম্প্রতি করোনা উপসর্গ দেখা দিলে বাড়িতে আসতে চান তিনি। তবে পরিবারের লোকজন তাকে বাড়ি আসতে নিষেধ করেন। ঢাকায় ডাক্তার দেখানোর পরামর্শ দেন তারা। কিন্তু ভাগ্য তাকে নিয়ে যায় পরপারে।

 

ভাগ্যের কি পরিহাস! করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়ায় তার লাশ স্থানীয় কবরস্থানে দাফনে বাধা দিলেন এলাকাবাসী। পরে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় তার লাশ দাফন করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে। নাজিম উদ্দিন উপজেলার বিলচাপড়া গ্রামের চান মাহমুদের ছেলে।

 

জানা যায়, ঢাকায় শ্যামলী পিসি কালচারে নিরাপত্তা প্রহরীর চাকরি করতেন নাজিম উদ্দিন।  সম্প্রতি তিনি সর্দি কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত হন। নিজের অসুস্থতার কথা জানান স্বজনদের। কিন্তু অসুস্থতার সাথে করোনা উপসর্গের মিল থাকায় পরিবারের সদস্যরা ধরে নেন তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাই বাড়িতে আসতে চাইলেও তার স্বজনরা ঢাকায় ডাক্তার দেখানোর পরামর্শ দেয় এবং বাড়ি আসতে নিষেধ করে।

এদিকে নাজিম উদ্দিন কোনো ডাক্তার না দেখিয়ে নিজেই ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে খান। এতে তার শরীরিক অবস্থার অবনতি হয়। বেশি অসুস্থতা বোধ করলে রোববার দিবাগত রাতে একটি প্রাইভেট কার ভাড়া করে বাড়ি পোঁছান নাজিম উদ্দিন। কিন্তু রাত শেষ হওয়ার আগেই ভোর রাতে তিনি মারা যান।

 

স্বাস্থ্য বিধি মেনে স্থানীয় কবরস্থানে নাজিম উদ্দিনের দাফন করতে যান পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু তার দাফনে স্থানীয়রা বাধা দেয়। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ইসলামী ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় বিলচাপড়া কবর স্থানে সোমবার দুপুরে তার লাশ দাফন করা হয়।

 

নাজিম উদ্দিনের জানাজায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) আসলাম হোসাইন, ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ রাশিদুল ইসলাম, ইসলামী ফাউন্ডেশনের সুপার ভাইজার এস.এম আনিছুর রহমানসহ স্থানীয় কিছু লোক উপস্থিত ছিলেন।

 

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মহী উদ্দিন আহম্মেদ জানান, তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement

সকল