১৭ জুন ২০২৪
`
নিত্যোপন্যাস

রক্তবনে আবিদ-আসমান

-

দশ.

বলল, ‘চল, এখনি ক্যামেরা লাগিয়ে আসি।’ নীলয় বলল, ‘এখন ক্যামেরা লাগাতে গেলে সব পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে যাবে। সব জানাজানি হয়ে যাবে। এমনকি ডাকাতদের কানেও সব চলে যাবে। যেতে হবে রাতের বেলা গোপনে। নীলয়ের কথা শুনে আসমান বলল, ‘কিন্তু রক্তবন তো ভয়াবহ জায়গা। ওখানে ভূতের ভয় আছে। শুনেছি মানুষ ওখানে দিনের বেলা যেতেও ভয় পায়।
রাতের বেলা ভূত আমাদের কাছে পেলে চিবিয়ে খাবে। নীলয় তুড়ি মেরে বলল, ‘ভূত আমাদের সাথে পারবে না। আমরা মনাকে সাথে নিয়ে যাবো। মনা যে পথ দিয়ে হাঁটে ভূত ১০৩ হাত দূরে থাকে। তাকে সালাম দেয়। মনা তার দাদার কাজের লোক। ছোটকাল থেকে তার দাদার সাথে থাকে। ফাইফরমাশ খাটে। বাড়ির রান্না-বান্না করে। খুব বিশ্বস্ত। সুঠাম দেহী। সাহসী। তার নাকি ভূতের সাথে কুস্তি লড়ার অভিজ্ঞতা আছে। দুই-চারটা ভূত তার কাছে কোনো ব্যাপার না।
আবিদ বলল, ‘আমাদের এই অভিযানের সাথে তাকেও জড়ানো যেতে পারে। সে খুব কাজের। আবিদের কথায় সবাই রাজি হলো। তারা ঠিক করল, আর দেরি নয়। আজ রাতেই ক্যামেরা লাগাবে। মনাকে সব খুলে বলা হলো। সে খুব আগ্রহ দেখাল। ভূতের ব্যাপারে বরাবরই তার আগ্রহ বেশি। মনা বলল, সাথে লোহা কিংবা জাল থাকলে ভূত কাছে ঘেঁষবে না। নাইলনের সুতার জালকে ভূতের বড় ভয়।
(চলবে)

 


আরো সংবাদ



premium cement