১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
নিত্যোপন্যাস

রক্তবনে আবিদ-আসমান

-

নয়.

এক ধুলা আরেক ধুলার সাথে মিশে থাকে। কন্তু মাটির ঢ্যালায় ঢ্যালায় দূরত্ব থাকে।
নীলয়দের পলাশপুর গ্রামে মানুষের মনে এক অশান্তি। গ্রামে চুরি-ডাকাতি বেড়ে গেছে। থানা পুলিশ করেও কোনো লাভ হচ্ছে না। তাদের ধরা যাচ্ছে না। দিনের বেলা তারা কোথায় যেন লুকিয়ে থাকে। রাত হলে দানবের মতো বেরিয়ে আসে। চার দিকে লুটতরাজের তাণ্ডব চালায়। গ্রামের মানুষ তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ। নীলয়দের ধারণা, ডাকাত দল রক্তবনেই লুকিয়ে আছে। যে করেই হোক, তাদের ধরে পুলিশে দিতে হবে। কী করে ধরা যায়-এ চিন্তায় তারা অস্থির। এ দিকে আবিদদের ছুটিও শেষ হয়ে আসছে। যে করেই হোক চলে যাওয়ার আগে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে। আবিদ বলল, ‘খুব সুন্দর একটা আইডিয়া পেয়েছি। যে রাস্তা দিয়ে ছায়ার মতো মানুষকে হাঁটতে দেখেছি- সেই রাস্তার ধারে আমরা গাছে গাছে স্পাই ক্যামেরা লাগিয়ে রাখব। এবং সেই ক্যামেরা আমাদের মোবাইল ফোনের সাথে সংযোগ দিয়ে রাখব। তাহলে সব রহস্য উদঘাটন হয়ে যাবে। আমরা মোবাইল ফোনেই সব দেখতে পাব। ডাকাতরা কোন পথে আসা-যাওয়া করে, কোথায় তাদের আস্তানা সব জানা যাবে।’ আবিদের কথায় অন্যরা সায় দিল। সবার মাঝে ডাকাত ধরার উত্তেজনা। তাদের এবার বোঝাবে কত আটায় কত রুটি। আসমানের আর তর সয়ছে না। (চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement