১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
গল্পকথা

রিশা রাফির দিনগুলো

-

ত্রিশ.

রাফি বলল, আমাদের বাসায় যখন গিয়েছিলি অনেক ছোট ছিলি। রিশা বলল, ক'দিনের মধ্যেই বড় হয়ে গেছিস। সুমন দুষ্টুমি করে বলল, আমরা মোটা চালের ভাত খাই। সুমিতা বলল, কিন্তু মোটা হই না। মা আড় চোখে রিশা, রাফির দিকে তাকালেন। বাবা চোখের ভাষায় রিশা, রাফিকে কিছু একটা বললেন। ওদের গ্রামে পৌঁছতে পৌঁছতে সন্ধ্যা হয়ে গেল। গ্রামের সন্ধ্যা মানেই রাত। ওরা ক্লান্ত ছিল। তাই কারো সঙ্গেই গল্প হয়নি।
আজকের সকালটা রিশা রাফিকে যেমন মুগ্ধ করেছে- ঠিক তেমনি বিস্মিত করেছে! ওরা কখনোই এমন অবাক করা সকাল দেখেনি। রিশা, রাফি নাস্তা করতে এলো। মামা দুষ্টুমিমাখা হাসি দিয়ে বললেন, তোমাদের নাস্তা শেষ হয়ে গেছে। সুমিতা মুখ টিপে হাসল। সুমন চোখ নাচিয়ে বলল, রাফি ভাইয়া টয়লেটে যা দেরি করল। মামি এক গাল হেসে বলল, আমি আবার নাস্তা বানিয়ে আনছি। রিশা, রাফির বাবা মায়ের কাছে দুষ্টুমিগুলো পছন্দ হচ্ছিল না। তারা মনে মনে রেগে যাচ্ছিলেন। বাবা সংযত হয়ে বললেন, সবাই তোমাদের সঙ্গে দুষ্টুমি করছে। তোমরা নাস্তা করে নাও।
রিশা, রাফি, সুমন আর সুমিতা গ্রাম দেখতে বের হলো। কয়েকজন বাচ্চা ছেলে-মেয়ে রিশা, রাফির দিকে তাকিয়ে থাকল। রাফি বলল, ওরা আমাদের দিকে এভাবে তাকিয়ে আছে কেন? সুমন বলল, শহর থেকে কেউ বেড়াতে এলে ওরা এভাবেই তাকিয়ে থাকে। (চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement