বাইন মাছ ও একটি নারকেল গাছ
- রূপান্তর : শেখ আবদুল্লাহ নূর
- ১৯ এপ্রিল ২০২১, ০১:২১
(গত দিনের পর)
তার রূপের খ্যাতি অবশেষে ছড়িয়ে পড়ে সাগর জলের অতল তলেও। সেখানে শত শত ঝিনুক, কঙ্কর ও মাছেদের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে হিনার রূপের খ্যাতি। হিনা যেখানে যায়, তার রূপের ছটায় সেখানকার বাতাস দোলা দেয়। জীবজন্তু ও লতাপাতা নড়েচড়ে ওঠে। ছুঁয়ে দিতে চায় তার সোনায় মোড়ানো শরীর। হিনার রূপের ছটায় শোভিত হয়ে ওঠে তাহিতি দ্বীপের গাছ ও প্রাণীকুল।
এক দিনের কথা। হিনা সাগর জলে সাঁতার কাটছিল একা। সখিরা স্নান সেরে আগেই চলে গিয়েছিল। তো সাঁতরিয়ে হিনা এক সময় চলে যায় অনেক দূর। এমন সময় হিনাকে দেখতে পায় সাগর তলের ‘বাইন কুমার’ (প্রিন্স অব ইল)। বাইন কুমারকে চেনো পর্যটক? সে আর কেউ নয়, এই সাগর জলের মাছ সে। জলে যত বাইন মাছ আছে, তাদের রাজার পুত্র সে।
হিনার রূপে মুগ্ধ হয়ে বাইন কুমার জলের অতল তল থেকে ওঠে আসে হিনার কাছে। তার রূপে মুগ্ধ হয়ে সে গেঁথে যায় তার চুলের খোঁপায়। হিনা অবশ্য বুঝতে পারেনি কিছু। জলের মাছ তাকে ভালোবেসে তারই চুলে যে গেঁথে আছে।
স্নান শেষে হিনা ডাঙ্গায় ওঠে। তার চুল থেকে তখন খসে পড়ে বাইন মাছটি। মাটিতে পড়েই সে মনুষ্য রূপ নেয়। এক সুদর্শন যুবক হয়ে যায় তখন সে। হিনার সামনে দাঁড়িয়ে যুবকটি বলে, ‘হিনা, ওগো রূপসী কন্যা। তোমার রূপে বিমোহিত আমি, বাইন কুমার। আমার চোখে চোখ রাখো। প্রীতির দৃষ্টি মেলে একবার তাকাও। ধরো আমার এই হাতখানি।’ বাইন কুমার হাত বাড়িয়ে দেয় হিনার দিকে। (চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা