১৭ জুন ২০২৪
`

কলকাতায় আজিম লাশ বহনের ভিডিও প্রকাশ, ১২ দিনের সিআইডি হেফাজতে জিহাদ

- ছবি : আনন্দবাজার পত্রিকা

বাংলাদেশের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিমের লাশ বহনের ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে অভিযুক্ত আমানোল্লা ও কসাই জিহাদ হাওলাদারকে দেখা গেছে।

বাংলাদেশ পুলিশ ইতোমধ্যে আমানোল্লাকে গ্রেফতার করেছে। আর কসাই জিহাদ হাওলাদারকে সিআইডির হেফাজতে পাঠিয়েছে ভারতের বারাসত আদালত।

শুক্রবার (২৪ মে) আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিমকে নিউ টাউনের যে আবাসনে খুন করা হয়েছে, সেখানকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে একটি সবুজ ট্রলি দেখা গেছে। মনে করা হচ্ছে, ওই ট্রলিতেই সংসদ সদস্যেদের দেহাংশ ভরে নেয়া হয়েছিল।

আবাসনের ১ মিনিট ৯ সেকেন্ডের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে দেখা গেছে, বাঁ দিকের একটি ঘর থেকে ট্রলি নিয়ে বেরোচ্ছেন এক অভিযুক্ত। ডান দিকে লিফটের বোতাম টিপে অপেক্ষাও করেন তিনি। সাথে আরো একজন ছিলেন। তার হাতে আরো তিনটি ছোট ছোট ব্যাগ ছিল। লিফ্ট এলে তাতে ট্রলি নিয়ে উঠে পড়েন দু’জনই।

ওই ফুটেজেই অন্য একটি দৃশ্যে দেখা গেছে, তিনজন বাঁ দিকের ঘরটিতে ঢুকছেন। ঘরে ঢোকার আগে জুতো খুলে রেখে দিচ্ছেন দরজার পাশের জুতো রাখার তাকে। এই ফুটেজে খুনের অন্যতম অভিযুক্ত আমানোল্লাকে দেখা গেছে। বাংলাদেশ পুলিশ ইতোমধ্যে তাকে গ্রেফতার করেছে। এছাড়াও ফুটেজে দেখা গেছে কসাই জিহাদ হাওলাদারকে। মুম্বই থেকে তাকে ডেকে এনেছিলেন অভিযুক্তরা। তাকে বৃহস্পতিবার বনগাঁ থেকে গ্রেফতার করে সিআইডি।

জিহাদকে শুক্রবার সকালে বারাসত আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। আদালত তাকে ১২ দিনের সিআইডি হেফাজতে পাঠিয়েছে।

গত ১২ মে কলকাতায় চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন বাংলাদেশের সংসদ সদস্য। উঠেছিলেন বরাহনগরের এক বন্ধুর বাড়িতে। দু’দিন পর সেখান থেকে নিখোঁজ হয়ে যান।

সিআইডি জানতে পেরেছে, মধুচক্রের শিকার হয়েছিলেন তিনি। এক মহিলার ফাদে ফেলে তাকে নিউ টাউনের আবাসনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানেই খুন করা হয় তাকে। ধৃত কসাই গোয়েন্দাদের জানিয়েছেন, তিনি বাকিদের সাথে মিলে খুনের পর সংসদ সদস্যের দেহ টুকরো টুকরো করে কাটেন। তারপর ছাল ছাড়িয়ে হলুদ মাখানো হয় তাতে। পরে সেগুলি বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

নিউ টাউনের ওই আবাসনে মিলেছে রক্তের দাগ এবং গ্লাভসের খালি প্যাকেট। প্রমাণ লোপাটের জন্যই গ্লাভস ব্যবহার করা হয়েছিল বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। বাংলাদেশ পুলিশ ইতোমধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। সিআইডির একটি দল ধৃতদের জেরা করার জন্য পশ্চিমবঙ্গ থেকে বৃহস্পতিবারই বাংলাদেশে পৌঁছায়।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


আরো সংবাদ



premium cement