১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

কোচের সাথে খারাপ আচরণ করেছিলেন শাহিন আফ্রিদি!

কোচের সাথে খারাপ আচরণ করেছিলেন শাহিন আফ্রিদি! - ছবি : সংগৃহীত

২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড থেকে ছিটকে গিয়েছিল পাকিস্তান দল। এ দলটি যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধেও ম্যাচ হেরেছিল এবং তার ফল ভোগ করতে হয়েছে তাদের। গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে যেতে হয়েছিল তাদের। ওই সময় পাকিস্তানি দলে সবকিছু ঠিকঠাক ছিল না বলেই খবর ভেসে এসেছিল। বলা হয়েছিল, পাকিস্তানি দলের খেলোয়াড়রা দুই গ্রুপে বিভক্ত, তাদের মধ্যে বিভাজন ছিল।

এখন বলা হচ্ছে, সেই সব খবর একেবারেই সঠিক। পাকিস্তানি নিউজ চ্যানেল সামা টিভি দাবি করেছে যে ওডিআই এবং টি-টোয়েন্টি দলের প্রধান কোচ গ্যারি কার্স্টেন পিসিবি প্রধানের সাথে দেখা করে বলেছিলেন যে পাকিস্তান দলে বিভাজন রয়েছে। ফাস্ট বোলার শাহিন আফ্রিদির বিরুদ্ধেও নাকি অভিযোগ করেছেন গ্যারি কার্স্টেন। শাহিনের বিরুদ্ধে কোচ ও টিম ম্যানেজমেন্টের সাথেও খারাপ আচরণের অভিযোগ করা হয়েছে।

শাহিন আফ্রিদির বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ
সামা টিভির সাংবাদিকদের মতে, বিশ্বকাপ চলার সময়ে শাহিন আফ্রিদির খারাপ আচরণের অভিযোগ করেছেন গ্যারি কার্স্টেন। রিপোর্টে বলা হয়েছে, শাহিন আফ্রিদি দলের কোচ ও অন্যান্য খেলোয়াড়ের সাথে দুর্ব্যবহার করেছেন। পাকিস্তানের চ্যানেল সামা টিভির তরফ থেকে এমনটাই দাবি করা হচ্ছে। বড় কথা বলা হচ্ছে, গ্যারি কার্স্টেন ও সহকারী কোচ আজহার মাহমুদ নাকি শাহিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও দলের ম্যানেজার তাতে কোনো ব্যবস্থা নেননি।

সামা টিভির মতে, টিম ম্যানেজমেন্টে থাকা ওয়াহাব রিয়াজ শাহিনকে থামাননি এবং এই কারণেই এখন ওয়াহাবকেও পাকিস্তানি টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। অন্য খেলোয়াড়দের সাথে নানা পরিকল্পনা করার অভিযোগ উঠেছে শাহিন আফ্রিদির বিরুদ্ধে।

বাবরের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিচ্ছেন শাহিদ আফ্রিদি
একদিকে শাহিন আফ্রিদির বিরুদ্ধে এই প্রকাশ, অন্যদিকে বাবর আজমের বিরুদ্ধে লাগাতার বক্তব্য দিচ্ছেন শাহিন আফ্রিদির শ্বশুর শাহিদ আফ্রিদি। শাহিদ আফ্রিদি বলেছেন, ‘বাবর আজম অধিনায়ক হিসেবে অনেক সুযোগ পেয়েছেন। এখন পিসিবি অন্য কাউকে অধিনায়ক হিসেবে বেছে নিলে তাকে পুরো সুযোগ দেয়া উচিত।’

তবে পাকিস্তান দলে এই লড়াই ও দলাদলি শুরু হয় শাহিন আফ্রিদিকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেয়ার পর। বাবর আজমকে একবার অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে তার জায়গায় শাহিনকে দলের নেতৃত্ব দেয়া হলেও মাত্র একটি সিরিজের পর তার কাছ থেকে অধিনায়কত্ব কেড়ে নেয়া হয়। পিসিবির এই কৌশলে দলের পরিবেশ নষ্ট হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস


আরো সংবাদ



premium cement