বিমান ৪ ঘণ্টা দেরিতে, না ঘুমিয়ে সেমিফাইনালে নেমেছে আফগানিস্তান

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানের ম্যাচ ছিল সেন্ট ভিনসেন্টে। বাংলাদেশ সময়ে মঙ্গলবার সকালে সেই ম্যাচ ছিল। আবার বৃহস্পতিবার সকালেই সেমিফাইনাল খেলতে নামেন রশিদ খানরা। সেই ম্যাচ হয় ত্রিনিদাদে।

কিন্তু সেখানে যাওয়ার সময় চার ঘণ্টা সময় নষ্ট হয় আফগানিস্তানের। বিমান দেরিতে ছাড়ায় পর্যাপ্ত ঘুম হয়নি রশিদদের। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে হারের সেটাও একটা কারণ হতে পারে।

রশিদ যদিও সেটাকে কারণ বা অজুহাত হিসেবে দেখাতে রাজি নন। টসের সময় তিনি বলেন, ‘বিমান চার ঘণ্টা দেরি করেছিল। আমরা এক ঘণ্টা ঘুমিয়েছি। কিন্তু সেটা ব্যাপার নয়। আমরা খেলার জন্য তৈরি। নিজেদের সেরাটাই দেবো।’

টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রশিদ খান। সেটাই হয়তো ভুল হলো তার। মাত্র ৫৬ রানে শেষ হয়ে গেল আফগানিস্তানের ইনিংস। ম্যাচ শেষে রশিদকে অনেক বেশি চিন্তিত লাগল দলের ব্যাটিং নিয়ে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের মিডল অর্ডারকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। আরো আগ্রাসী ব্যাটিং করতে হবে। ইনিংস টেনে নিয়ে যাওয়ার কেউ নেই দলে। এবারের প্রতিযোগিতায় বেশ কিছু ম্যাচ আমরা ভালো খেলেছি। তবে আরো ভালো খেলতে হবে। বিশেষ করে ব্যাটিং বিভাগকে আরো উন্নতি করতে হবে।’

টস জিতে রশিদের ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এডেন মার্করামও টস জিতলে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিতেন। সে কথা টসের সময় জানিয়েছিলেন তিনি। ম্যাচ শেষে সেই মার্করাম বলেন, ‘টস হারাটাই আমাদের জন্য সৌভাগ্যের কারণ। টস জিতলে আমরা ব্যাট করতাম। এখানে ব্যাট করা কঠিন ছিল। আমরা ভাগ্যবান যে জুটি গড়তে পেরেছি। ভাগ্য আমাদের সাথে ছিল।’

এর আগে কখনো বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। মার্করাম বলেন, ‘আগে কখনো ফাইনাল খেলিনি। তবে আমরা আত্মবিশ্বাসী। আমাদের পুরো দল তৈরি ফাইনালে নিজেদের সেরাটা দেয়ার জন্য।’

পুরো টুর্নামেন্টে ভালো খেলে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেয়া আফগান অধিনায়ক রশিদ বলেন, ‘আমরা যেকোনো দলকে হারাতে পারি। এই আত্মবিশ্বাসটা তৈরি হয়েছে। পরের বার বিশ্বকাপ খেলতে নামার সময় এই আত্মবিশ্বাস নিয়েই নামব। চাপের মধ্যে কিভাবে নিজেকে একটা দল সামলাচ্ছে, তাতেই বদলে যায় ম্যাচের ফল।’

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২৯ জুন হবে সেই ম্যাচ। বৃহস্পতিবার রাতে ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচের বিজয়ীর সাথে খেলতে হবে প্রোটিয়াদের।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা