১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

সেন্ট ভিনসেন্ট : বাংলাদেশ ক্রিকেটের এক অবিস্মরণীয় ভূমি

সেন্ট ভিনসেন্ট : বাংলাদেশ ক্রিকেটের এক অবিস্মরণীয় ভূমি - ফাইল ছবি

বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্র অধ্যায় শেষ বাংলাদেশের। মার্কিন মুলুক ছেড়ে ইতোমধ্যে টাইগাররা পৌঁছে গেছে ক্যারিবীয় দ্বীপে। ওয়েস্ট ইন্ডিজেই বিশ্বকাপের বাকি সময়টা কাটাবেন সাকিব-শান্তরা। এখান থেকেই লড়াই শুরু দ্বিতীয় রাউন্ডের জন্যে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজে বাংলাদেশের প্রথম প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস। আজ (বৃহস্পতিবার) রাতে আইসিসির সহযোগী এই দেশের সাথে খেলা গড়াবে সেন্ট ভিনসেন্টের আর্ন্স ভেইল ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। দ্বিতীয় ম্যাচে নেপালের বিপক্ষেও খেলবে এই ভেন্যুতেই।

সেন্ট ভিনসেন্ট বাংলাদেশের ক্রিকেটের এক আবেগের নাম। যেখানে মিশে আছে গা শিউরে দেয়া অনুভূতি, যেখানে আছে অর্জনের পাল্লা ভারি করা সুখ স্মৃতি। এদেশের ক্রিকেটে প্রাপ্তি বলে যা কিছু আছে, তার একটা ছিল এই ভিনসেন্টে। ২০০৯ সালে টাইগাররা লিখেছিল সেখানে এক রূপকথার গল্প।

সেবার এই মাঠেই ওয়েস্ট উন্ডিজকে টেস্টে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। যা ছিলো দেশের বাহিরে সাদা পোষাকে বাংলাদেশের প্রথম কোনো জয়। ক্যারিবীয়দের হারায় ৯৫ রানে। এরপর অবশ্য গ্রেনাডায় ক্যারিবীয়দের আবারো হারিয়ে সিরিজটাও জিতে নিয়েছিল টাইগাররা।

সেই ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার ছিলেন তামিম ইকবাল৷ দ্বিতীয় ইনিংসে দূর্দান্ত এক শতক হাঁকান তিনি, খেলেন ১২৮ রানের ইনিংস। সেই তামিম অবশ্য এবার নেই বিশ্বকাপ দলে নেই, তবেসেই অবিস্মরণীয় ঘটনার দুই সাক্ষী হয়ে আছেন সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

আরো একবার লাল সবুজের স্বপ্ন সারথি হয়ে সেন্ট ভিনসেন্টে তারা। সাকিবের কাছে সেন্ট ভিনসেন্ট আরো স্পেশাল, তার অধিনায়কত্বের হাতেখড়ি এখান থেকেই।অবশ্য নিয়মিত অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফী বিন মুর্তজাই টস করেন সেন্ট ভিনসেণ্টে।

তবে ম্যাচের মাত্র ৬.৩ ওভারে বল করতে গিয়ে চোটে পড়ে মাঠ ছাড়তে হয় তার। তাৎক্ষণিক দায়িত্ব উঠে সাকিবের কাঁধে। সেই প্রথমবার দলকে নেতৃত্ব দেন সাকিব৷ এরপরই নাম লেখান ইতিহাসে, দেশকে এনে দেন সাদা পোষাকে প্রথম টেস্ট জয়ের স্বাদ।

যাহোক, আর্ন্স ভেইল ক্রিকেট গ্রাউন্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজের আলোচিত স্টেডিয়ামগুলোর একটা হলেও এখানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট গড়ায় না প্রায় এক দশক ধরে। সর্বশেষ এই মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ, এত বছর পর আবারো বাংলাদেশকে দিয়েই ফুরোচ্ছে অপেক্ষা।

২০১৪ সালে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ মধ্যকার টেস্ট খেলা হয়েছিল এখানে৷ এরপর ফের বাংলাদেশ - নেদারল্যান্ডস ম্যাচ দিয়ে এই মাঠে ফিরছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট৷ এবারের বিশ্বকাপের আরো তিনটা ম্যাচ হবে ১৫ হাজার ধারণ ক্ষমতার এই স্টেডিয়ামে।

টেস্ট ও ওয়ানডেতে এখানে একাধিকবার বাংলাদেশ দলের খেলার সুযোগ হলেও খেলা হয়নি টি-টোয়েন্টি। হবেই বা কি করে,এর আগে এখানে টি-২০ ম্যাচই হয়েছে মাত্র ২টি৷ ২০১৩ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

উল্লেখ্য, দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠার লক্ষ্যে আজ বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে নেদারল্যান্ডসের। সেন্ট ভিনসেন্টে দুই দলের লড়াই শুরু রাত সাড়ে আটটায়। দুই দলের জন্যই এই ম্যাচ অনেকটা ডু অর ডাই। যে জিতবে সেই এগিয়ে যাবে পরের পর্বের লক্ষ্যে৷


আরো সংবাদ



premium cement