১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

রোহিত শর্মাকে পেছনে ফেলে সৌম্যের বিশ্বরেকর্ড

সৌম্য সরকার - ফাইল ছবি।

আজ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ খেলল বাংলাদেশ। এদিন ধনঞ্জয়া ডি সিলভার মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই ছক্কা মারতে চাইলেন সৌম্য সরকার। ব্যাটে-বলে হলো না, প্যাডই হলো আশ্রয়। জোরালো আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দিলেন না। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই রিভিউ নেয়ারও আগ্রহ দেখাল না শ্রীলঙ্কা।

পরের বলেই আবার মারতে গেলেন, কিন্তু টপ এজ। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার হাতে মিড অনেই ধরা পড়লেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে শূন্য রানে আউট সৌম্য। আর তাতেই ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে পেছনে ফেলে একটি বিশ্বরেকর্ড গড়লেন তিনি।

কিন্তু বিশ্বরেকর্ডটি স্বস্তির নয়; লজ্জার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ডাক অর্থাৎ শূন্যরানে আউট হওয়ার কীর্তিটা দখলে নিলেন সৌম্য। রেকর্ডটা অবশ্য এককভাবে শুধু সৌমের নয়, তার সঙ্গী আয়ারল্যান্ডের পল স্টার্লিং। একসময় রেকর্ডটা সৌম্যের থাকলেও ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর শূন্য পাওয়ায় সৌম্যকে ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন আইরিশ ওপেনার। এরপর থেকে দুজনের মধ্যে ইঁদুর-বেড়াল লড়াই চলছিল। স্টার্লিং এক ধাপ এগোন তো সৌম্য তাকে ছুঁয়ে ফেলেন।

তবে যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত ৪ ইনিংসে দ্বিতীয় শূন্যে স্টার্লিংকে আবার ছুঁয়ে ফেলেছেন বাংলাদেশী ওপেনার। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এখন দুজনেরই ১৩টি শূন্য। তবে স্টার্লিং যেখানে ২০০৯ সালে ক্যারিয়ার শুরু করেছেন, সেখানে ছয় বছর কম খেলেই তাকে ধরে ফেলেছেন সৌম্য। শুরুটা অভিষেকেই, ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঢাকায় শূন্য রানে আউট হওয়া সৌম্য আজ পেয়ে গেলেন ১৩তম শূন্য।

ডাক-এ স্টার্লিংকে এখনো ছাড়িয়ে যেতে না পারলেও অন্য একদিক থেকে ঠিকই এগিয়ে সৌম্য। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এখনো ১৪০০ রান করতে না পারলেও দেখতে দেখতে ৮৪ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন সৌম্য। এর মধ্যে শুধু এক ইনিংসে ব্যাট করেননি। অর্থাৎ ৮৩ ইনিংসেই ১৩ বার শূন্য রানে ফিরেছেন সৌম্য।

এর মানে প্রতি ১৩ ইনিংসে অন্তত দুবার শূন্য রানে আউট হন সৌম্য। ওদিকে পল স্টার্লিং প্রতি ১১ ইনিংসে একবার আউট হন শূন্য রানে। গত যুক্তরাষ্ট্র সিরিজেই সৌম্য আরো তিনজনের পাশে। ভারতের রোহিত শর্মা ও কেভিন ও’ ব্রায়ানের আছে ১২টি শূন্য। তাদের সাথে থাকা অন্য নামটি একটু অপরিচিত, কাবারে ইরাকোসে। রুয়ান্ডার এই ২৪ বছর বয়সী অফ স্পিনার মাত্র ৫৫ ইনিংসে ব্যাট করে ১২ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন।

নিয়মিত বিরতিতে শূন্য পাওয়ায় তাকেও টপকে গেছেন তার স্বদেশী জেপি বাইমেনিয়েইমানা। এই ডানহাতি পেসার ৪৭ ইনিংসের ১১টিতেই ফিরেছেন শূন্য হাতে। তবে ধারাবাহিকতায় সবাইকে লজ্জা দিচ্ছেন ঘানার ডেনিয়েল আনেফি।

এই অলরাউন্ডার চার বছরের ক্যারিয়ারে ২৮ ইনিংসে ব্যাট করেছেন আর তাতেই তার ১১টি ডাক। অর্থাৎ প্রতি ৫ ম্যাচেই দুবার ডাক নিয়ে ফিরেন তিনি।

তবে ডাকের এই তালিকায় রোহিত শর্মা ও স্টার্লিং ছাড়া কেউই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলছেন না। সেদিক থেকে আরেকটি রেকর্ড হাতছানি দিচ্ছে সৌম্যকে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ পাঁচটি ডাকের রেকর্ড দুজনের। ৩৫ ও ৩২ ইনিংসে ব্যাট করে পাঁচবার করে শূন্য হাতে ফিরেছেন তিলকরত্নে দিলশান ও শহীদ আফ্রিদি। আজ বিশ্বকাপে নিজের চতুর্থ ডাকের দেখা পেয়েছেন সৌম্য। তবে এক্ষেত্রে তার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে আয়ারল্যান্ডের জর্জ ডকরেল ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের আন্দ্রে রাসেলেরও।

 


আরো সংবাদ



premium cement