শিরোপা ধরে রাখার মিশনে বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ৩১ মে ২০২৪, ২১:১৩
আরো একটা বিশ্বকাপ দাঁড়িয়ে সামনে, আরো একবার শিরোপা নেশায় মত্ত ইংল্যান্ড। তারকা ঠাঁসা দল নিয়েই শিরোপা ধরে রাখার মিশনে নামবে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। অভিজ্ঞতাই এই দলটার সবচেয়ে বড় শক্তির জায়গা। খালি চোখে স্কোয়াডে তাকালেও দেখা যাবে তাদের সক্ষমতা।
২০১৫ বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর আমূল পরিবর্তন আসে ইংলিশ ক্রিকেটে। সবকিছু বদলে ফেলে তারা। দেখা দেয় নতুন রূপে। যার ফলাফলও আসে হাতেনাতে, পরের আসরেই প্রথমবারের মতো ঘরে তোলে শিরোপা। জিতে নেয় ২০১৯ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন তকমা।
বিশ্বকাপের পরও গোটা ক্রিকেট দুনিয়াকে মোহময় করে রাখে ইংল্যান্ড। আগ্রাসী ক্রিকেটে নজর কাড়ে সবার। অনন্য ধারাবাহিকতায় ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপাও ঘরে তোলে তারা। চলতে থাকে নির্ধারিত ওভারের ক্রিকেটের দুই ফরম্যাটেই রাজত্ব।
২০২৩ বিশ্বকাপে ওয়ানডেতে ঘটে রাজত্বের অবসান। ভারত বিশ্বকাপের শিরোপা দখলে নেয় অস্ট্রেলিয়া। টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখলেও সময়টা খুব একটা ভালো যায়নি থ্রি লায়ন্সদের। শিরোপা জেতার পরবর্তী সময়ে সিরিজ জেতা যেন ভুলেই গিয়েছিল ইংল্যান্ড।
এদিকে দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে আরো একটা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ২ জুন যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে পর্দা উঠবে এই টুর্নামেন্টের নবম সংস্করণের। ২০ দলের এই আসরে শিরোপার অন্যতম দাবিধার থ্রি লায়ন্সরা।
তবে বিশ্বকাপের ঠিক আগে ঘুম ভেঙেছে ইংলিশদের। কেটেছে তাদের টি-টোয়েন্টিতে সিরিজ জয়ের খরা। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শিরোপা জেতার পর এই ফরম্যাটে গতরাতেই প্রথম কোনো সিরিজ জিতলো তারা। মাঝের সময়ে বাংলাদেশ, ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছেও সিরিজ হারে তারা।
সদ্য শেষ হওয়া চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে পাকিস্তানকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। বাকি দুই ম্যাচ ভেসে যায় বৃষ্টিতে। অর্থাৎ ঘুরে দাঁড়িয়ে আত্মবিশ্বাসে টইটম্বুর হয়েই বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে থ্রি লায়ন্সরা।
ইংল্যান্ডকে ফেভারিটের তালিকায় রাখাটা বাড়াবাড়ির কিছু নয়। দলের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একদম তারকায় ঠাঁসা, অভিজ্ঞতায় ভরা বলা চলে। দলে থাকা ক্রিকেটারদের মাঝে দুই সংখ্যার কম টি-টোয়েন্টি খেলেছেন কেবল স্পিনার টম হার্টলি। বাকি সবার ঝুলি বেশ ভারী।
তাদের দলের আরেকটা শক্তি জায়গা হচ্ছে লম্বা ব্যাটিং লাইন। জশ বাটলার, জনি বেয়ারেস্টো, ফিল সল্ট, হ্যারি ব্রুক, বেন ডাকেট, লিয়াম লিভিংস্টোন, মঈনরা আলিরা তো নিজেদের দিনে একাই একাই সব শেষ করে দিতে পারেন।
বল হাতে আদিল রাশিদ, জফরা আর্চার, মার্ক উড, ক্রিস জর্ডান, রিস টপলিরাও হতে পারেন মূর্তিমান আতঙ্কের কারণ। তাছাড়া স্যাম ক্যারেন তো ছিলেন গত আসরের টুর্নামেন্ট সেরা ক্রিকেটার! অলরাউন্ডার মইন আলির স্পিনও বেশ কার্যকর হবে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে।
তাছাড়া সদ্যই আইপিএল খেলে এসেছেন দলের অধিকাংশ ক্রিকেটার। ফলে খেলার মধ্যেই ছিলেন তারা। যা বেশ কাজে দেবে আবহের সাথে মিশে যেতে।
ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ দল
জস বাটলার (অধিনায়ক), ফিল সল্ট, উইল জ্যাকস, জনি বেয়ারস্টো, বেন ডাকেট, হ্যারি ব্রুক, লিয়াম লিভিংস্টোন, মঈন আলী (সহ-অধিনায়ক), স্যাম কারেন, ক্রিস জর্ডান, টম হার্টলি, আদিল রশিদ, জফরা আর্চার, মার্ক উড ও রিস টপলি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা