১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

জিম্বাবুয়েকে ধবলধোলাই করা হলো না, হার বাংলাদেশের

জিম্বাবুয়েকে ধবলধোলাই করা হলো না, হার বাংলাদেশের - সংগৃহীত

আরাধ্য ৫-০ স্বাদ পাওয়া হলো না বাংলাদেশের। আরো একবার খুব কাছে দিয়ে হাতছাড়া হলো এই অর্জন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টিতে হেরে যাওয়ায় অপেক্ষা বাড়লো ইতিহাস গড়ার। সেই সাথে বিশ্বকাপের আগে এমন হার কপালে ফেলেছে চিন্তার ভাঁজ।

সিরিজ আগেই নিশ্চিত করা বাংলাদেশ র‍োববার শেষ টি-টোয়েন্টিতে জয় পেলেই প্রথমবার কোনো প্রতিপক্ষকে দিতো ৫-০ ধবলধোলাইয়ের স্বাদ। তবে তা আর হলো না। আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে বাংলাদেশের গড়া ১৫৭ রানের পুঁজি ৯ বল আর ৮ উইকেট হাতে রেখেই পাড়ি দিয়েছে জিম্বাবুয়ে।

এদিন ১৫৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ভালো শুরু পায় জিম্বাবুয়ে। ৪.১ ওভারে এসে যখন প্রথম উইকেটের পতন হয়, রান তখন ৩৮। মারুমানিকে (১) ফেরান সাকিব। সেই যে একটা উপলক্ষ পেয়েছিল টাইগাররা, পরের ১০ ওভারেও আর আসেনি তেমন মুহূর্ত।

টাইগার বোলারদের হতাশ করেছেন ব্যানেট-রাজা মিলে। দু'জনে গড়ে তুলেন ৭৫ রানের জুটি। ১৫.১ ওভারে এসে এই জুটি ভাঙেন সাইফুদ্দিন। ফেরান ভয়ঙ্কর হয়ে উঠা ব্যানেটকে। আউট হবার আগে ৪৯ বলে ৭০ রানের এক ইনিংস খেলেন তিনি।

তবে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক। তুলে নেন ফিফটিও। তার ৪৬ বলে ৭২ রানের সুবাদে ৯ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় তারা।

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৫৭ রান করে বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ফিফটি আর জাকের আলির ঝড়ো ব্যাটিংয়ে পাড়ি দিয়েছে দেড় শ' রানের গণ্ডি। অবশ্য টসে হেরে ব্যাটিংয়ের শুরুটা ভালো হয়নি মোটেও। মাত্র ১৫ রানে হারায় ৩ উইকেট।

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ফেরেন তানজিদ। আগের ম্যাচে অর্ধশতক হাঁকানো এই ব্যাটার ফেরেন ৫ বলে মাত্র ২ রানে। দুই অংকের ঘরে যেতে পারেননি সৌম্যও, ৭ বলে ৭ রানে ফেরেন তিনি।

এক ওভার পর তাওহীদ হৃদয়ের উইকেটও হারায় টাইগাররা। ৪.১ ওভারে ১৫ রানেই হারায় ৩ উইকেট। তবে সেখান থেকে টেনে তুলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও নাজমুল হোসেন শান্ত। দু'জনে গড়েন ৪৫ বলে ৬৯ রানের যুগলবন্দী।

অধিনায়কের বিদায়েই ভাঙে জুটি। ২৮ বলে ৩৬ রান করে মাসাকাদজাকে উইকেট দেন তিনি। এরপর সাকিব আল হাসানকে সাথে নিয়ে আরো ৩৯ রান যোগ করেন মাহমুদউল্লাহ। ১৭ বলে ২১ রানে ফেরেন সাকিব। ১৬.৫ ওভারে দলের সংগ্রহ তখন ৫ উইকেটে ১২৩।

পরের ওভারেই ফেরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আউট হবার আগে অবশ্য তুলে নেন ক্যারিয়ারের অষ্টম টি-টোয়েন্টি ফিফটি। ৪৪ বলে করেন ৫৪ রান। এরপর রান বাড়ানোর কাজটা করেন জাকের আলি। সাইফুদ্দীনকে সাথে নিয়ে শেষ ১২ বলে যোগ করেন ২৯* রান।

জাকের ১১ বলে ২৪* ও সাইফ অপরাজিত থাকেন ৪ বলে ৬ রানে। মুজারাবানি ও ব্যানেট নেন দুটো করে উইকেট।


আরো সংবাদ



premium cement