সূর্য কুমার-ইশানকে ছাপিয়ে মুম্বাইয়ের জয়ের নায়ক বুমরাহ
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১২ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০৭
আইপিএলের শুরু থেকে ছিলেন না সূর্য কুমার যাদব। চোটের কারণে মুম্বাই শিবিরে যোগ দেন দেরিতে। তবে ফেরার ম্যাচে জ্বলে উঠতে পারেননি, ফেরেন ডাক মেরে। তবে অপেক্ষা আর বাড়ালেন না, ব্যাঙ্গালুরুকে করলেন তুলোধুনো। যেমনটা করে থাকেন বরাবরই!
কম যাননি ইশান কিষানও। ঝড়টা শুরু হয় তার ব্যাট থেকেই। দুই বন্ধু মিলে সর্ষেফুল দেখান ব্যাঙ্গালুরুর বোলারদের। সুবাদে ব্যাঙ্গালুরুর দেয়া ১৯৭ রানের লক্ষ্য অনায়াসেই পাড়ি দেয় মুম্বাই। জয় নিশ্চিত করতে মাত্র ১৫.৩ ওভার সময় নেয় তারা। বিলাসী জয় আসে ৭ উইকেটে।
ঘরের মাঠ ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য যেন তর সইছিল না মুম্বাইয়ের। রান তাড়ায় শুরু থেকেই দেখা দেয় বিধ্বংসী রূপে। ৮.৫ ওভারের উদ্বোধনী জুটিতে আসে শতরান! রোহিত শর্মার সাথে ১০১ রানের জুটি ভেঙে ইশান কিশান যখন ফিরেন, নামের পাশে তার ৩৪ বলে ৬৯ রান।
ইশান ঝড়ে ‘দর্শক’ বনে যাওয়া রোহিত ইনিংস বড় করতে পারেননি। তার দৌঁড় থামে ২৪ বলে ৩৮ রানে। তবে ততক্ষণে জ্বলে উঠেন সূর্য কুমার। মাত্র ১৭ বলে পূরণ করেন ফিফটি। ৫ চার আর ৩ ছক্কায় সাজান ইনিংস। যদিও জয় নিশ্চিত করে ফেরা হয়নি তার, ১৯ বলে ৫২ রানে শেষ হয় তার ইনিংস।
বাকি কাজটা সারেন মুম্বাই অধিনায়ক। তিন ছক্কায় ৬ বলে হার্দিক পান্ডিয়া করেন করেন ২১* রান। ১০ বলে ১৬* রানে অপরাজিত থাকেন তিলক ভার্মা। ২৭ বল হাতে রেখে জিতে যায় মুম্বাই। ফলে আইপিএল ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ৫০ ম্যাচ জয়ের কীর্তি গড়লো তারা।
ইশান কিশান কিংবা সূর্য কুমার আলো কাড়লেও অবশ্য ম্যাচ সেরা তাদের কেউ নয়। দারুণ বল করে সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতে নেন জাসপ্রিত বুমরাহ। মাত্র ২১ রানে ৫ উইকেট নেন তিনি। রান বন্যার ম্যাচে একাই ধরে রাখেন ব্যাঙ্গালুরুর ইনিংসের নিয়ন্ত্রণ।
শুরু থেকেই ব্যাঙ্গালুরুকে চেপে ধরেন বুমরাহ। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই ফেরান বিরাট কোহলিকে। হাত খোলার আগেই কোহলি ফেরেন ৯ বলে ৩ করে। পরের ওভারে অবশ্য উইল জ্যাকসকে (৮) ফেরান আকাশ মধুয়াল। তবে এরপরই জমে উঠে রজত পাতিদার আর ফাফ ডু প্লেসিসের জুটি।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৪৭ বল থেকে ৮২ রান যোগ করেন দু'জনে। ১১.৩ ওভারে পাতিদারকে ফিরিয়ে এই জুট ভাঙেন কোয়েটজে। ২৬ বলে ৫০ করে আউট হলেও বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দিয়ে যান তিনি। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল পরের ওভারে ডাক মেরে ফিরলেও দীনেশ কার্তিককে নিয়ে ছুটেন প্লেসিস।
তবে রান দেড় শ’ পেরোতেই বাঁধে বিপত্তি। নিজের দ্বিতীয় স্পেলের প্রথম ওভারেই জোড়া উইকেট তুলে নেন বুমরাহ। ফেরান প্রতিপক্ষ অধিনায়ক আর মাহিপালকে। ডু প্লেসিস আউট হন ৪০ বলে ৬১ রানে, মাহিপাল মারেন গোল্ডেন ডাক।
পরের ওভারে এসেও স্বস্তি দেননি বুমরাহ। নিজের শেষ ওভারে তুলে নেন আরো দুই উইকেট। পূরণ করেন ৫ উইকেটের মাইলফলক। এবার সৌরভ দিলীপসিং ও বিজয় কুমার শিকার তার। তবে একপ্রান্ত আগলে রান বাড়িয়ে নেন কার্তিক। শেষ পর্যন্ত ফিফটি তুলে অপরাজিত ছিলেন ২৩ বলে ৫৩ রানে। তবে তাতেও দুই শ’ স্পর্শ করতে পারেনি ব্যাঙ্গালুরু।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা