কোহলির শতক ম্লান করে বাটলারদের জয়
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৪৯
শেষ ছয় বলে জয়ের জন্য প্রয়োজন মোটে ১ রান। তবে ব্যক্তিগত শতক হাঁকাতে প্রয়োজন ছয় রানের। অর্থাৎ ছক্কা ছাড়া ব্যাট উঁচিয়ে ধরার সুযোগ ছিল না। ভুল করলেন না বাটলার, ক্যামেরন গ্রিনের বলটা সীমানার ওপারে উড়িয়ে ফেলেই সারলেন উদযাপন। নিশ্চিত করেন দলের জয়ও।
শনিবারের আইপিএল ম্যাচে জশ বাটলারের ‘যশে’ ধসে পড়ে ব্যাঙ্গালুরু। তার শতকে ভর করে আসরে অপরাজিত থাকার রেকর্ড ধরে রাখে রাজস্থান। বিপরীতে শতক হাঁকিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি বিরাট কোহলি। প্রথম ইনিংসে তার শতকে ভর করেই ৩ উইকেটে ১৮৩ রান তুলে ব্যাঙ্গালুরু। ৬ উইকেট হাতে রেখেই তা পাড়ি দেয় রাজস্থান।
জয়পুরের মানসিংহ স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খেলেন কোহলি। করেন ৭২ বলে ১১৩ রান। তার হাত ধরেই আইপিএল এবছর প্রথম সেঞ্চুরি দেখল। জনপ্রিয় এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে কোহলির এটি অষ্টম সেঞ্চুরি। আইপিএলে কোহলির চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি নেই আর কারো।
তার এমন ইনিংসের পরও কিছুটা আক্ষেপ করতেই পারে বেঙ্গালুরু। সমালোচনা হচ্ছে তার ৬৭ বলে সেঞ্চুরি করা নিয়ে। আইপিএলের ইতিহাসে এটিই যৌথভাবে মন্থর সেঞ্চুরি! কোহলির আগে ২০০৯ সালে ৬৭ বলে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছিলেন মানিষ পান্ডে।
বড় সংগ্রহ পেতে বড় ভূমিকা রাখেন ফাফ ডু প্লেসি। উদ্বোধনী জুটিতে কোহলিকে নিয়ে তিনি গড়েন ১২৫ রানের জুটি। ডু প্লেসি ৩৩ বলে ৪৪ রান করে আউট হন। এরপর দ্রুতই ফিরে যান গ্ল্যান ম্যাক্সওয়েল ও সৌরভ চৌহান। তবে ক্যামেরন গ্রিনকে নিয়ে ইনিংসের শেষ টানেন কোহলি।
জবাব দিতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেজ যশস্বী (০) জয়সাওয়ালের উইকেট হারায় রাজস্থান। তবে দ্বিতীয় উইকেটে বাটলার ও স্যামসন মিলে ধীরে ধীরে ম্যাচ নিজেদের নাগালে নিয়ে যান। দুজনে ৮৬ বলে তুলে ফেলেন ১৪৮ রান। স্যামসন ৪২ বলে ৬৯ রান করে আউট হলে ভাঙে এই জুটি।
তবে এক প্রান্ত ধরে রাখেন বাটলার। যে কারণে অন্য প্রান্তে রিয়ান পরাগ আর ধ্রুব জুরেলরা হাল ধরতে না পারলেও সমস্যা হয়নি রাজস্থানের। তবে শেষ বেলায় হেটমায়ারকে (১১*) নিয়ে নিশ্চিত করেন জয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা