নতুন ভেন্যুতে একই গল্প বাংলাদেশের, তবে করতে হচ্ছে না ফলোঅন

সময় বদলেছে, ভেন্যু বদলেছে, বদলেছে একাদশও। তবে বদলায়নি বাংলাদেশ। সিলেট টেস্টের হতশ্রী পারফরম্যান্স ধরে রেখেছে চট্টগ্রামেও। সাকিব আল হাসানও পারলেন না চিত্রনাট্যে পরিবর্তন আনতে। আরো একবার বাংলাদেশ গুটিয়ে গেল দুই শ’র আগে।

চট্টগ্রাম টেস্টে আগে ব্যাট করে ৫৩১ রান তুলে শ্রীলঙ্কা। কোনো শতক না থাকলেও ছিল ছয়টি অর্ধশতক। জবাবে বাংলাদেশ গুটিয়ে গেল ৬৮.৪ ওভারে ১৭৮ রানে। পাড়ি দিতে পারেনি ফলোঅনের মাইলফলকও। প্রথম ইনিংস শেষে শ্রীলঙ্কা থেকে পিছিয়ে ৩৫৩ রানে।

১ উইকেটে ৫৫ রান নিয়ে সোমবার চতুর্থ দিন শুরু করে বাংলাদেশ। কোনো বিপদ ছাড়াই ছুঁয়ে ফেলে ৯০-এর ঘর। তবে ভালো শুরুর ধারাটা ধরে রাখতে পারেনি।

হঠাৎ ধস নামে ইনিংসে, হারায় পথ। যদিও শ্রীলঙ্কা ফের ব্যাট করতে চাওয়ায় ফলোঅন থেকে রক্ষা পেয়েছে বাংলাদেশ।

দুই ফার্নান্দো মিলে চেপে ধরেন বাংলাদেশকে। আভিষ্কা নেন ৪ উইকেট। জোড়া উইকেট নেন বিশ্ব। প্রথমে দারুণ খেলতে থাকা জাকির হাসানকে ফেরান বিশ্ব ফার্নান্দো। ফিফটি তুলে জাকির বোল্ড হন ১০৪ বলে ৫৪ রানে। ভাঙে তাইজুলের সাথে জাকিরের ৪৯ রানের জুটি।

অধিনায়ক শান্ত মাঠে আসেন এরপর। তবে তার মেয়াদ ছিল মাত্র ১১ বল। প্রতাভ জয়সুরিয়ার বলে ১ রানে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। বড় ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠার আগেই ফের আঘাত আনেন বিশ্ব। এবার ফেরান তাইজুলকে। ৬১ বলে ২২ রানে আউট হন তাইজুল। ১০৫ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

সেখান থেকে দলকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন সাকিব আল হাসান ও মুমিনুল হক। তবে ধোপে টেকেনি তাদের প্রতিরোধ। পরের ৪৬ বল থেকে ২১ রান যোগ করেন দু’জনে। এরপরই ফেরেন সাকিব।

এক বছর পর টেস্টে ফেরা সাকিব ব্যাট হাতে পারলেন না প্রত্যাবর্তন রাঙাতে। আভিষ্কা ফার্নান্দোর শিকার হন ২৩ বলে ১৫ রান করে। সাতে নেমেও লিটন রানের দেখা পাননি। দুঃসময়ে ঘুরপাক খাওয়া এই ব্যাটার আউট হন ৪ রানে।

জোড়া উইকেট হারানোর পর শাহাদাত দিপুকে পেয়েছিলেন মুমিনুল। তবে তিনিও পারেননি যোগ্য সমর্থন দিতে। মুমিনুলকে রেখে ৩৬ বলে ৮ রানে ফেরেন তিনি। ১৪৮ রানে ৭ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মুমিনুলের ইনিংস থামে ৩৩ রানে। মেহেদী মিরাজ নয়ে নেমে করেন ৭ রান।