পোরশায় বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশী যুবক লাশ ফেরত
- পোরশা (নওগাঁ) সংবাদদাতা
- ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৩:৪৩
নওগাঁর পোরশা উপজেলার নিতপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশী যুবক আল আমিনের (৩৮) লাশ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ।
বুধবার দিবাগত রাত পৌনে ৯টার দিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ১৬ ব্যাটালিয়নের হাঁপানিয়া সীমান্তচৌকি (বিওপি)-সংলগ্ন কৃষ্ণসদা এলাকায় সীমান্তের শূন্যরেখায় উভয় দেশের পুলিশ এবং বিজিবি ও বিএসএফ সদস্যদের উপস্থিতিতে লাশ ফেরত দেয় তারা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাঁপানিয়া বিওপির নায়েক সুবেদার আবু তালেব। তিনি জানান, বুধবার দিবাগত রাত ৮টার দিকে কৃষ্ণসদা সীমান্তের ২৩৬ মেইন পিলারের কাছে বিজিবি ও বিএসএফ কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে রাত পৌনে ৯টার দিকে নিহতের পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। এ সময় পোরশা ও সাপাহার থানার পুলিশ উপস্থিত ছিল।
নিহত আল আমিন (৩৮) উপজেলার নিতপুর ইউনিয়নের বিষ্ণপুর কলোনিপাড়া গ্রামের সিদ্দিক দালালের ছেলে।
এর আগে, সোমবার দিবাগত রাতে নিতপুর সীমান্তচৌকির (বিওপি) এলাকা দিয়ে চোরাই পথে গরু নিতে ভারতের অভ্যন্তরে আল আমিনসহ চার যুবক প্রবেশ করেন। পরে গরু নিয়ে নিতপুর সীমান্তের নীলমারি এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে ফেরার সময় মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে ভারতের দাল্লাপাড়া কাঠের ব্রিজ নামক স্থানে পৌঁছালে বিএসএফ ১৫৯ ব্যাটালিয়নের কেদারিপাড়া ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের ধাওয়া করে। এ সময় অন্যরা পালিয়ে গেলেও আল আমিন গুলিবিদ্ধ হন। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের শূন্যরেখা থেকে এক কিলোমিটার ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিএসএফ সদস্যরা আল আমিনের লাশ নিয়ে যায়।
মঙ্গলবার দুপুরে হাঁপানিয়া সীমান্ত ফাঁড়ি এলাকায় বিএসএফ ও বিজিবি কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকে লাশ ফেরত দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
স্থানীয় পুলিশ সূত্র জানায়, ভারতীয় পুলিশ ময়নাতদন্তের পর লাশ ফেরত দিয়েছে। নিহতের শরীরে গুলিবিদ্ধের চিহ্ন ছিল।
নিতপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এনামুল হক জানান, তার জানা মতে আল আমিন ভারত থেকে গরু আনা-নেয়া করতেন। তিনি টাকার বিনিময়ে রাখাল হিসেবে গরু নিয়ে আসতেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা