২০ মে ২০২৪, ০৬ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫
`


প্রযুক্তি খাতে তাইওয়ানের একচ্ছত্র আধিপত্য

-

কয়েক বছর ধরেই প্রযুক্তি খাতে তাইওয়ানের আধিপত্য বাড়ছিল। চীন নিজেদের একটি প্রদেশ হিসেবে বিবেচনা করা তাইওয়ানই এখন কম্পিউটার চিপের জগতে নেতৃত্ব দিচ্ছে। আর এ খাতের বেশির ভাগ ব্যবসা রয়েছে তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির (টিএসএমসি) অধীনে। বিশ্বের বৃহৎ চুক্তিভিত্তিক চিপ উৎপাদনকারী এ সংস্থা অ্যাপলের স্মার্টফোন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও উচ্চক্ষমতার কম্পিউটিং চিপ উৎপাদন করছে।
যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাপানি গাড়ি প্রস্তুতকারকরা সঙ্কট মোকাবেলায় তাইওয়ান ও টিএসএমসিকে পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ জানাতে তাদের সরকারগুলোর সঙ্গে তদবির করছে। জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ গত বছর সঙ্কটজনিত সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং ইউরোপে নিজস্ব চিপ উৎপাদন ত্বরান্বিত করার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে একমত হয়েছেন।
অটো শিল্পের এই আবেদনই প্রকাশ করছে টিএসএমসির চিপ তৈরির দক্ষতা কীভাবে তাইওয়ানকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে প্রভাবশালী করে তুলেছে। যেখানে যুক্তরাষ্ট্র চীনের প্রযুক্তি সংস্থাগুলোকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে। এ পরিস্থিতি জো বাইডেন প্রশাসনের অধীনেও অব্যাহত থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। সেমিকন্ডাক্টর ব্যবসায়ে তাইওয়ানের নেতৃত্বে বেইজিংয়ের ক্রমাগত আগ্রাসনের হুমকি মোকাবেলায় টোকিও থেকে ওয়াশিংটনের স্বনির্ভরতা বাড়ানোর পরিকল্পনাগুলোকে ত্বরান্বিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্র অ্যারিজোনায় এক হাজার ২০০ কোটি ডলারের চিপ ফ্যাব্রিকেশন প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য টিএসএমসির সঙ্গে আলোচনা করছে। এ ছাড়া টেক্সাসে এক হাজার কোটি ডলার ব্যয়ে একটি চিপ প্ল্যান্ট তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং ইলেকট্রনিকস কোং।
যদিও সেমিকন্ডাক্টর সরবরাহে তাইওয়ানই একমাত্র দেশ নয়। তবে এ খাতে বিশেষ করে চিপ ডিজাইন ও বৈদ্যুতিক সফটওয়্যার সরঞ্জামে যুক্তরাষ্ট্রও প্রভাবশালী অবস্থানে রয়েছে। এমনকি পূর্ব এশিয়ার দেশ জাপানও নিজ দেশে কারখানা স্থাপনের জন্য টিএসএমসিকে আকৃষ্ট করছে।


আরো সংবাদ



premium cement