রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সর্বত্র দুর্নীতি ও লুটপাট হচ্ছে
- ০৭ জুলাই ২০২৪, ০২:২৩
গণসংহতি আন্দোলনের উদ্যোগে গতকাল ‘সর্বগ্রাসী দুর্নীতি ও রাষ্ট্রের গতিমুখ’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করা হয়। দলের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে এ সভায় প্রাথমিক বক্তব্য উত্থাপন করেন গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল। বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীরমুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম লালা এবং জেএসডির সিনিয়র সহসভাপতি তানিয়া রব। সভা সঞ্চালনা করেন গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জুলহাসনাইন বাবু।
সভায় বক্তারা বলেন, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সব জায়গায় দুর্নীতি ও লুটপাট করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আছে এবং তারা রাষ্ট্রের প্রযোজনায় সমস্ত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করে এক মহাদুর্নীতির যজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। ব্যাংকে গচ্ছিত আমানতকারীদের অর্থ লুটে নেয়ার জন্য, আইন সংশোধন করা হয়েছে, সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে পরিচালক হিসেবে বসানো হয়েছে সরকার ঘনিষ্ঠ লুটেরাদের, এমনকি কেন্দ্রীয় ব্যাংককেও ব্যবহার করা হয়েছে। একইভাবে বিদ্যুৎ সঙ্কটকে পুঁজি করে এ খাতে লুট ও দুর্নীতি নিশ্চিত করার জন্য আইন করে কয়েকটি কোম্পানির হাতে তুলে দেয়া হয়েছে পুরো খাত। দফায় দফায় দাম বাড়িয়ে গ্রাহকদের পকেট কেটে ভর্তুকির নামে হাজার হাজার কোটি টাকা তুলে দেয়া হচ্ছে সরকারের ঘনিষ্ঠ কিছু কোম্পানি হাতে। তাদের সুরক্ষা দেয়ার জন্য দায়মুক্তি আইন পর্যন্ত করা হয়েছে।
বক্তারা আরো বলেন, বলা হচ্ছে বেনজীর বা জেনারেল আজিজের দুর্নীতির দায় প্রতিষ্ঠান বা ঐ বিভাগ নিবে না। কিন্তু সরকারের অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য আজিজ বেনজীরদের স্বেচ্ছাচারিতার ব্ল্যাঙ্ক চেক দেয়া হয়েছে। এদের নেতৃত্বে যেভাবে রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করা হয়েছে তাতে পুরো বাহিনী অকার্যকর হয়ে পরেছে। একইভাবে এ প্রতিষ্ঠানগুলো মানুষের সাংবিধানিক অধিকার, মানবাধিকার, ভোটের অধিকার হরণ করে দেশকে একটি অকার্যকার ব্যর্থ রাষ্ট্রের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। বিজ্ঞপ্তি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা