হাজার গুণ বেশি ফি নিচ্ছে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল : শিক্ষামন্ত্রী
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৪ জুলাই ২০২৪, ০১:৪৫
ঢাকার বিভিন্ন ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল এক হাজার গুণ বেশি ফি নিলেও নিজস্ব ক্যাম্পাস তৈরি করছে না । শিক্ষা সেক্টরে এই অবস্থাকে অরাজকতা বলে অভিহিত করেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। গতকাল বুধবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেছেন তিনি। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিদ্যালয়ের রুমগুলো কনভার্ট করে পরিচালিত হবে- সেটা সাময়িকভাবে দেয়া যায়। কিন্তু আজীবন আমি সেখানে থেকে যাব, আর বিদ্যালয়ের যে সারপ্লাস হবে সেটা আমরা যারা উদ্যোক্তা তারা পকেটে করে নিয়ে যাব, বিদ্যালয়ের জন্য কোনো ক্যাম্পাস করব না, সেই অরাজকতা চলতে দিতে পারি না। গতকাল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের জন্য ‘ডিএনসিসি স্মার্ট স্কুল বাস সার্ভিস’-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, স্বাভাবিকের চেয়ে এক হাজার গুণ বেশি বেতন আদায় করেও অধিকাংশ ইংলিশ মিডিয়াম ও অভিজাত স্কুল শিক্ষার্থীদের নানাভাবে বঞ্চিত করছে। অপরদিকে চলমান নতুন শিক্ষাক্রমের ষান্মাষিক মূল্যায়নের প্রশ্নপত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন করলে, নেতিবাচক কিছু দেখতে নারাজ বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। এ সময় যানজট থেকে মুক্তির জন্য উত্তরের প্রতিটি স্কুলকে দ্রুত নিজস্ব পরিবহন সার্ভিস চালুর করা না হলে স্কুল বন্ধ করে দেয়ার হুঁশিয়ারি দেন ডিএনসিসি মেয়র মো: আতিকুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, যানজট রাজধানীবাসীর নিত্যদিনের সমস্যা হলেও যে কয়েকটি কারণ ভোগান্তির মাত্রা বাড়ায় তার মধ্যে অন্যতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। স্কুল-কলেজ শুরু বা ছুটির সময়ে নাভিশ্বাস অবস্থায় পড়েন সাধারণ মানুষ। অসহায় হয়ে পড়ে ট্রাফিক বিভাগও। অপর এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমে যেহেতু পরীক্ষা পদ্ধতিতে কম গুরুত্ব দেয়া হয়েছে, তাই এখানে প্রশ্নফাঁসের কোনো সুযোগ নেই। তিনি বলেন, এটা পাবলিক পরীক্ষা নয়, এটা শ্রেণীকক্ষভিত্তিক পরীক্ষা। সেখানে প্রত্যেক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। আমাদের দেখতে হবে অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থী প্রকাশ করবে তার শিখনফলটি ও লাইন আউটকাম অর্জিত হয়েছে কি না..।
নতুন কারিকুলামের পরীক্ষা পদ্ধতির প্রসঙ্গে নওফেল বলেন, এখানে প্রমাণ করার বিষয় নেই, মেধা প্রমাণের বিষয় নেই, শিক্ষক দেখবেন শিক্ষার্থীর শিখনফল অর্জিত হয়েছে কি না। সেখানে একে অপরের থেকে যদি জানার চেষ্টা করে তাতে সমস্যা নেই। তার উপস্থাপনার সক্ষমতা যেটা, কমিউনিকেশন্স ও প্রেজেন্টশন স্কিল... সেখানে কিন্তু তাকে নির্ধারিত মাত্রায় পারদর্শিতার যে স্তর, সেটি অতিক্রম করতে হবে। সুতরাং প্রশ্নফাঁস করলেও সেটির কোনো উপকারিতা নেই। একজন শিক্ষার্থীকে অবশ্যই কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে পারদর্শিতার স্তর অতিক্রম করতে হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা