‘আমরা সুসম্পর্ক চাই অধীনতা নয়’
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৪ জুলাই ২০২৪, ০১:৪১
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, আমি মুক্তিযুদ্ধ করেছি, ভারত থেকে যুদ্ধের সময় ট্রেনিং নিয়েছি। তাদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতাবোধ আছে, কিন্তু সেটা তো আমাদের স্বাধীনতার জন্য। কিন্তু সেটাই যদি প্রশ্নবিদ্ধ হয়, আমাদের জনগণের স্বার্থ যদি প্রশ্নের সম্মুখীন হয় তাহলে তো এই ভালোবাসা আর থাকে না। আমরা সুসম্পর্ক চাই, অধীনতা চাই না।
আমাদের প্রতিবেশী তো আর বদলানো যাবে না। তাই আমরা চাই বন্ধুত্ব। তার জন্য আমাদের প্রয়োজন পারস্পরিক শ্রদ্ধা, পারস্পরিক বিশ্বাস, পারস্পরিক স্বার্থের ভিত্তি। সেটা যেন হয়, তা আমাদের চিন্তা করতে হবে।
গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে ইসলামী আন্দোলন আয়োজিত জাতীয় সঙ্কট নিরসনে জাতীয় সংলাপে তিনি একথা বলেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, যখনই আমাদের সরকার তিস্তা প্রকল্পে রাজি হবে তখনই বুঝতে হবে সরকার পানি বণ্টনের যে প্রসঙ্গ সেটা শেষ করে এসেছে। কারণ তিস্তার পানি আসছে না বলেই তো এই প্রকল্প। আমরা যদি তিস্তার পানি পাই তাহলে তো আর আমাদের প্রকল্পের প্রয়োজন হচ্ছে না। তো আমরা যদি প্রকল্পের জন্য রাজি হয়ে যাই তাহলে ধরেই নিচ্ছি যে আমরা তিস্তার পানি পাচ্ছি না। ভারতের একটা রাজ্য হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ তার মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছে মমতা ব্যানার্জি, তিনি মুখের ওপর বলে, চিৎকার করে বলে, চিঠি দিয়ে বলে যে আমার রাজ্যের লোকের পানি দরকার অতএব আপনি আমার সাথে কথা না বলে কোথাও পানি দিবেন না।
তিনি আরো বলেন, আমার দেশ একটা স্বাধীন দেশ; তাহলে আমার দেশের প্রধানমন্ত্রী বা অন্যান্য মন্ত্রী বা সরকার কেন জোর গলায় শক্ত করে বলতে পারে না যে আন্তর্জাতিক নদী আইন অনুযায়ী বিভিন্ন দেশের মধ্যে যে নদী প্রবাহিত হয় সেই নদীর প্রবাহ উজানে বন্ধ করার কোনো অধিকার কোনো দেশের নাই। আপনারা (ভারত) যেটা করছেন সেটা অন্যায় করছেন, সেটা ঠিক করেন নাই।
তিনি বলেন, এখন এমন একটি সরকার প্রয়োজন যার জনগণের কাছে জবাদিহিতা থাকবে। সে রকম একটি সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এ সরকারের পতন ঘটাতে হবে এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। এটা করতে এ সরকারকে বাধ্য করার জন্য পরে আমরা আগে করেছি তার চেয়েও তীব্রতর লড়াই আমাদেরকে করতে হবে। যতটুকু ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমরা লড়াই করেছি তার চেয়েও অধিক ঐক্যবদ্ধ এবং সংগঠিত লড়াই দরকার।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা