মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হাইটেক বাইসাইকেল ইটিটি মেশিনটি নষ্ট
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ৩০ জুন ২০২৪, ০০:০৫
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কার্ডিওলজি বিভাগের একমাত্র হাইটেক ‘এক্সারসাইজ টোলারেন্স টেস্টিং’ বা ইটিটি মেশিনটি নষ্ট হয়ে আছে প্রায় এক বছর। এটাকে বাইসাইকেল ইটিটি মেশিনও বলা হয়। মেশিনটি অত্যন্ত নির্ভুল ফলাফল দিয়ে থাকে। এ ধরনের ইটিটি মেশিন শুধু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়েই আছে, বাংলাদেশে অন্য কোনো সরকারি অথবা বেসরকারি কোনো হাসপাতালে নেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিওলজি বিভাগের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ছাড়া কেবল ভারতের ৪টি হাসপাতালে ৪টি মেশিন কাজ করছে। খুবই ‘একুরেট রিডিং’ দেয় বলে ইটিটির এ মেশিনটিতে টেস্ট করিয়ে আনতে কার্ডিওলজিস্টরা প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। এ মেশিনটির দুটি পার্ট। একটি ইকো মেশিন এবং এর সাথে যুক্ত আছে একটি হাইটেক বাইসাইকেল যন্ত্র। রোগীকে এটা বাইসাইকেলের মতো চালাতে হয়। এ বাইসাইকেল পার্টটি ঠিক আছে কিন্তু ইকো করার মেশিনটি নষ্ট হয়ে গেছে। এ দুটি মেশিনের দাম প্রায় এক কোটি টাকা। কার্ডিওলজি বিভাগের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বেশ কিছুদিন ধরে ইকো মেশিনটি অচল হয়ে আছে। বাইসাইকেল পার্টটি এখনো সচল রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন অব্যবহৃত হয়ে থাকলে বাইসাইকেল পার্টটিও নষ্ট হয়ে যাবে।
বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও তারা এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে।
হাইটেক এ মেশিনটিতে ইটিটি করানো হলে আড়াই হাজার টাকা লাগে। বাইরে থেকে করানো হলে ১০ থেকে ১২ হাজার লাগতে পারে। যদিও এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের কোনো বেসরকারি হাসপাতাল অথবা ডায়গনস্টিক সেন্টারে এই মেশিনটি নেই। তবে কোনো কোনো বেসরকারি হাসপাতাল অথবা ডায়গনস্টিক সেন্টার এ মেশিনটি বসানোর চিন্তা করছেন বলে একজন কার্ডিওলজিস্ট জানিয়েছেন। সরকারি প্রতিষ্ঠান বলে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধু ইটিটিই নয়; যেকোনো পরীক্ষানিরীক্ষা অনেক কম দামে করা হয়ে থাকে। এতে করে সাধারণ মানুষ অনেক উপকৃত হচ্ছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এ বাইসাইকেল ইটিটি মেশিনটি সবাই চালাতে পারেন না। এ মেশিনটির মাধ্যমে তরুণ চিকিৎসকদের শেখানো হলে এ ধরনের আরো মেশিন সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে এনে মানুষকে সঠিক ও নির্ভুুলভাবে হৃদরোগের চিকিৎসা দিয়ে আরো বেশি মানুষকে সুস্থ করে তুলতে ভূমিকা রাখতে পারে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা