ঢাবির ৪৯ কর্মচারীর ফ্ল্যাট বরাদ্দ বাতিল
- ঢাবি প্রতিনিধি
- ৩০ জুন ২০২৪, ০০:০৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ৪৯ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ফ্ল্যাট বরাদ্দ বাতিল করেছে প্রশাসন। অবৈধভাবে সাবলেট দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে গত ৭ মে বরাদ্দকৃত বাসাগুলো বাতিলের নোটিশ দেয় এস্টেট অফিস। সময়সীমা বাড়িয়ে আগামী জুলাই মাসের মধ্যে বাসা ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এর আগে, জুন মাসের মধ্যে বাসা ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। তবে কর্মচারীদের দাবি ভুল ও মনগড়া তদন্তের ভিত্তিতে বরাদ্দকৃত বাসা বাতিল করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী কর্মচারীরা নয়াদিগন্তকে জানান, পত্র মারফত গত ১৫ মে এস্টেট ম্যানেজার আমাদের বাসা ভাড়া দেয়ার অভিযোগ টেনে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে লিখিত জবাব দেয়ার ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। অভিযুক্ত কর্মচারীরা নির্দেশিত কর্মদিবসের মধ্যেই লিখিত জবাব দিয়েছেন। কিন্তু তাতে ফলপ্রসূ কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।
পরবর্তীতে, এ বিষয়ে গত ২৭ মে ঢাবি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, কর্মচারী সমিতি, কারিগরি কর্মচারী সমিতি এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা যৌথভাবে পুনরায় তদন্ত চেয়ে ভিসি অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামালের নিকট আবেদনপত্র জমা দেন।
বরাদ্দকৃত বাসাগুলোতে সাবলেট দেয়ার ব্যাপারে স্বীকারপূর্বক কর্মচারীরা নয়াদিগন্ত প্রতিবেদককে বলেন, আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা খুব স্বল্প বেতন, ভাতা পায়। সংসারের টানাপোড়েনের কারণে কয়েকজন কর্মচারী তাদের একটা রুম ভাড়া দেয়। এগুলো যারা অসচ্ছল তারাই বাসাগুলো ভাড়া দেয়। কিন্তু এমন অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিষয়ে আমরা জানি, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বরাদ্দকৃত সব রুম, ফ্লাট ভাড়া দেয়। কিন্তু প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো শোকজ পত্র দেয়নি। আমাদের নজর এড়াতে তদন্তের আগেই অমুক দিন যাবে বলে সাবধান করে ঐসব কর্মচারী। যেটা সম্পূর্ণ পক্ষপাতিত্বের শামিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড. এ এস মাকসুদ কামাল গণমাধ্যমকর্মীকে জানান, তদন্তে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ফ্ল্যাট কর্তৃপক্ষ পুনরায় পরিদর্শন করবে প্রশাসন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা