১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

বিজ্ঞানী ইবনে সিনা ও কবি ফররুখ আহমদকে সিএনসির স্মরণ

-

সেন্টার ফর ন্যাশনাল কালচার (সিএনসি) জুন মাসে বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী ইবনে সিনা ও বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি ফররুখ আহমদকে পরম শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করার আয়োজন করে এবং তাদের নামে অন্য দু’জন বরেণ্য ব্যক্তিকে সিএনসি পদক প্রদান করেছে।
(আবু আলী সিনা) ইবনে সিনার নামে সিএনসি পদক গ্রহণ করেছেন বরেণ্য চিকিৎসাবিদ, গবেষক ও সমাজচিন্তক প্রফেসর ডা: শাহীনুল আলম এবং কবি ফররুখ আহমদের নামে সিএনসি পদক গ্রহণ করেছেন নারী সংগঠক, সমাজ চিন্তক ও কল্যাণব্রতী সাহানা ইসলাম। গত বুধবার ভার্চুয়াল লাইভ ইভেন্টের মাধ্যমে মাসিক স্মরণসভা ও পদক প্রদান অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়। অনুষ্ঠানের সভা প্রধান ছিলেন বিশিষ্ট শিশু সংগঠক, লেখক ও সিএনসি সভাপতি অ্যাডভোকেট এ কে এম বদরুদ্দোজা। প্রধান মেহমান ছিলেন সাবেক সচিব ও চেয়ারম্যান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ। প্রধান আলোচক অনুষ্ঠানের পরিচালক ছিলেন কবি ও গীতিকার জাকির আবু জাফর ও সিএনসির নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল হক।
প্রধান মেহমান তার মূল্যবান বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন, বিজ্ঞানী ইবনে সিনার কাছে মানবজাতি বিশেষভাবে ঋণী। জ্ঞানের এমন কোনো ক্ষেত্র নেই, যা এই মনীষী স্পর্শ করেননি। কিশোর থেকে যৌবনে পদার্পণের সময় তিনি জ্ঞান রাজ্যের প্রায় সব ভূমি স্পর্শ করেছিলেন। ১৭ বছর বয়সে তিনি বাগদাদের লাইব্রেরিতে প্রবেশাধিকার পেয়েছিলেন। এখানে বসেই তিনি জ্ঞানের অতলান্তিক পিপাসা নিবৃত করার সুযোগ পেয়েছিলেন। ৪৫০টি বই তিনি রচনা করেছেন। তার মধ্যে ৪০টি চিকিৎসা বিজ্ঞান বিষয়ক। বলা হয়ে থাকে ইবনে সিনা ৫০০ বছর জ্ঞানের রাজ্যে রাজত্ব করেন। ইরানে এসে তিনি বিজ্ঞান ছেড়ে সাহিত্যে প্রবেশ করেন। তিনি ছিলেন মরুভূমির মতো প্রশস্ত। তার জ্ঞানের ভেতর ছিল হাজারো সূর্য। কবি ফররুখ ছিলেন মূলত সাহিত্যের মানুষ। আর ইবনে সিনা ছিলেন মূলত বিজ্ঞানসহ জ্ঞানের সব শাখার মানুষ। সাহিত্যেও তিনি কম যাননি। ফররুখের কাছে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে তিনি মানবজাতিকে ধারণ করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু আত্মঘাতী বাঙালি জাতি সেটা বুঝতে সক্ষম হয়নি। আমরা অতীতকে খুঁজে বেড়াচ্ছি কেন? কারণ অতীতে আমরা অনেক সূর্যের অবস্থান দেখছি। বর্তমানতো অন্ধকারাচ্ছন্ন। ভবিষ্যৎ সম্পূর্ণভাবে অনিশ্চিত।
এ ছাড়াও পদকপ্রাপ্ত মেহমানরা অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন। তারা উল্লেখ করেন এমন দুজন ব্যক্তিকে আজ আলোচনার বিষয়বস্তু বানানো হয়েছে যা অভূতপূর্ব। রবীন্দ্রনাথের মতোই বলতে ইচ্ছে করছে, এবার ফিরাও মোদের। সারা পৃথিবী ইবনে সিনা কে চেনে। জ্ঞানের রাজ্যে এখনো তিনি সম্রাট। বাঙালি না কবি ফররুখকে চেনে, না ইবনে সিনাকে। আমরা যেন এখন একজোট হয়ে কাব্য, সাহিত্য, শিল্প, লোলিতকলা, জ্ঞান-বিজ্ঞান সবকিছু থেকে যোজন যোজন দূরে অবস্থান করার চেষ্টা করছি। আমাদের নবতর যাত্রা যেন ব্ল্যাক হোলের দিকে।
অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন সিএনসির মিডিয়া এক্সিকিউটিভ ইসমাইল হোসেন। বিজ্ঞপ্তি।


আরো সংবাদ



premium cement