১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

জবির ২০১ কোটি টাকা বাজেট ঘোষণা

গবেষণায় বরাদ্দ ২.৪৬ শতাংশ
-

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ২০১ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছে। গরকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৬ তম সিন্ডিকেট সভায় এই পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেট উত্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হুমায়ূন কবীর চৌধুরী। এর আগে গত ২৪ জুন জবির অর্থ কমিটির সভায় এই বাজেট সুপারিশ করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সিন্ডিকেট সভাপতি ভিসি অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।
এবারের প্রস্তাবিত মূল বাজেট ২০১ কোটি টাকার। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সংশোধিত ঘাটতি বাজেটসহ বরাদ্দ ছিল ১৮৭ কোটি টাকা। এবার প্রস্তাবিত বাজেটে বেড়েছে ১৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে ঘাটতি বাজেট ৩৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। প্রস্তাবিত ২০১ কোটি টাকার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) বরাদ্দকৃত মোট অর্থ ১৬৩ কোটি ২৪ লাখ টাকা।
এবার বাজেটে ইউজিসি কর্তৃক গবেষণা বাবদ মাত্র চার কোটি টাকা বরাদ্দ হচ্ছে, এর মধ্যে এক কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পিএইচডি গবেষণায়। গবেষণায় বরাদ্দ মূল বাজেটের মাত্র ২.৪৬ শতাংশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদার তুলনায় এই বাজেট কম বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। বাজেট বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত ২০১ কোটি টাকার বেশির ভাগ ব্যয় হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বেতন ভাতা বাবদ। মোট ১১৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ব্যয় হবে এই খাতে। যা মূল বাজেটের ৭১ শতাংশ। এ ছাড়া জ্বালানি খরচে ব্যয় হবে দুই কোটি ৭০ লাখ টাকা। গতবার জ্বালানিতে বরাদ্দ ছিল দুই কোটি ৫০ লাখ টাকা। এর মধ্যে ইউজিসি কর্তৃক ব্যয় সীমা ছিল দুই কোটি ৭০ লাখ টাকা।
পিছিয়ে স্বাস্থ্যসেবা খাতও
২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা খাতে বরাদ্দ ছিল মাত্র সাত লাখ টাকা। এবার তা তিন লাখ টাকা বেড়ে হয়েছে মাত্র ১০ লাখ টাকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ হাজার শিক্ষক শিক্ষার্থীদের জন্য যা একেবারেই সামান্য।
এ ছাড়া শরীরচর্চা কেন্দ্র ও খেলাধুলা খাতে বরাদ্দ মাত্র ২৫ লাখ, যা গতবার ছিল ২০ লাখ। ফিন্ড ওয়ার্ক শিক্ষা সফরে তিন লাখ টাকা বেড়ে এবার বরাদ্দ ১৫ লাখ টাকা। এ দিকে অনুষ্ঠান ও উৎসব ভাতাদি বাবদ বরাদ্দ মাত্র ৩৫ লাখ টাকা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা খাতকে আরো সমৃদ্ধ করতে বাজেটে আরো বরাদ্দ প্রয়োজন বলে মনে করেন শিক্ষকরা। গবেষণা সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, গবেষণায় ইউজিসির কাছে আমাদের চাহিদা আরো অনেক বেশি ছিল। কিন্তু সেই তুলনায় কম বরাদ্দ পাওয়া গেছে- এটা খুবই সামান্য।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ পরিচালক ড. মোহসীন রেজা বলেন, এবার বাজেট ২০০ কোটি টাকা অতিক্রম করেছে। কিন্তু আমাদের চাহিদার তুলনায় কম। গবেষণাসহ অন্যান্য খাতে আমাদের চাহিদা আরো বেশি ছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হুমায়ূন কবীর চৌধুরী বলেন, ইউজিসির বরাদ্দের উপর ভিত্তি করেই আমাদের বাজেটটা প্রণয়ন করার চেষ্টা করেছি। প্রস্তাবিত বাজেট বিভিন্ন খাতে বণ্টন করা হয়। শুধু গবেষণা খাতই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের মান ও চাহিদা অনুযায়ী অন্যান্য খাতেও বরাদ্দ কম হয়েছে। সমন্বয় করেই সব কিছু করা হচ্ছে।
ভিসি অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, বাজেটে খাত ভিত্তিক বরাদ্দ বেড়েছে। আমাদের আরো বেশি প্রত্যাশা ছিল; কিন্তু সেটা সমন্বয় করতে হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সুযোগ সুবিধার কথাও বিবেচনা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে বরাদ্দ বেড়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল