রাতের আঁধারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে টি টেকনাফ জাহাজ
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১৩ জুন ২০২৪, ০০:০৫
বিল পরিশোধ না করে রাতের আঁধারে মুন্সীগঞ্জের থ্রি অ্যাংগেল মেরিন লিমিটেড শিপইয়ার্ড থেকে টি টেকনাফ নামক অয়েল ট্যাংকার (জাহাজ) তার মালিকপক্ষ সরিয়ে নিয়েছে বলে দাবি করেছে শিপইয়ার্ড কর্তৃপক্ষ। গতকাল বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করেন থ্রি অ্যাংগেল মেরিন লিমিটেড শিপইয়ার্ডের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত বছরের ২২ মে হাজী রফিক ও আবুল হোসেন নামে দু’জন টি টেকনাফ নামক একটি ট্যাংকার থ্রি অ্যাংগেল মেরিন লিমিটেড শিপইয়ার্ডে মেরামতের জন্য নিয়ে আসেন। মেরামতের পর প্রথমে ২৩ জুলাই পাঁচ লাখ ২৪ হাজার টাকার বিল দেয়া হয়; কিন্তু তারা বিল পরিশোধ করেননি। জাহাজও নিয়ে যাননি। চলতি বছরে ৩ জানুয়ারি রফিক নামে ওই ব্যক্তি যোগাযোগ করলে ইয়ার্ড ভাড়াসহ তাকে ১১ লাখ ৩৬ হাজার টাকা বিল দেয়া হয়। তিনি বিল গ্রহণ করায় জাহাজটি আনডকিং করে তাদের দু’জন লোকের পাহারায় পানিতে বার্থিং করা হয়। বিল পরিশোধ করে জাহাজ নিয়ে যাবে; কিন্তু তারপরও জাহাজ না নেয়ায় গত ১৬ মে বার্থিং চার্জসহ রফিককে ৩০ লাখ টাকার বিল দেয়া হয়। ১৯ মে সকালে দেখা যায়, দুই পাহারাদারসহ বার্থিং করা জাহাজ নেই। পরে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে জাহাজটি না পেয়ে গজারিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিল পরিশোধ না করে রাতের আঁধারে রফিকসহ তাদের অন্য সদস্যরা জাহাজ নিয়ে দায় চাপাচ্ছে শিপয়ার্ড কর্তৃপক্ষের ওপর। একটি স্বনামধন্য শিপয়ার্ডে রক্ষিত এত বড় জাহাজ চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ আছে কি না এবং থাকলে ওই শিপয়ার্ড অরক্ষিত কি না জানতে চাইলে শহিদুল ইসলাম বলেন, জাহাজটি ইয়ার্ডের পাশে পানিতে বার্থিং করা থাকায় তারা কেউ কিছু বুঝতে পারেননি।
তবে টি টেকনাফ জাহাজের মালিক বেঙ্গল ইলেকট্রিক লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোত্তাকিন সালাম দাবি করেছেন, ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে থ্রি অ্যাংগেল শিপইয়ার্ড কর্তৃপক্ষ জাহাজটি কেটে বিক্রি করে দিয়েছে। এর আগে তারা মেরামতের জন্য অস্বাভাবিক বিল ধরিয়ে দিয়েছিল।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা